সজীব ওয়াজেদ জয় - Joy-2

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে রংপুর জেলার কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে রংপুর জেলা থেকে জয়কে কাউন্সিলর করে দপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। রংপুরের সন্তান হিসেবেই তিনি কাউন্সিলে অংশ নেবেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দপ্তর উপকমিটির রংপুর বিভাগীয় সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।সিলেটের এমসি কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগমের ওপর হামলার বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই ঘটনায় যে জড়িত ছিল, সেই বদরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই, অপরাধী যে-ই হোক, সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্রদল কিংবা যুবদলের কি না, এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। অপরাধী অপরাধীই। অপরাধীদের অন্য পরিচয় থাকতে পারে না। তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে, দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণœ না করতে পারে। এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প উপস্থাপন করা হবে বলে জানান হানিফ। নেতৃত্ব নির্বাচন কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমেই হবে বলে তিনি জানান।

হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কাউন্সিলদের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম আছে। আগামী কাউন্সিলে রংপুরের কাউন্সিলর হিসাবেই তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন।সম্মেলনের আলোচনার মধ্েয সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের উপর হামলা নিয়েও কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।খাদিজার উপর হামলার জন্য সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সহসম্পাদক বদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় তিনিই একমাত্র আসামি।

হানিফ বলেন, অপরাধী যে হউক, সে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কিংবা ছাত্রদল-যুবদল, আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। অপরাধীর কোনো পরিচয় থাকতে পারে না।আমরা বিশ্বাস করি তাকে (বদরুল) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হব। তাকে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণœ এবং দেশের মানুষের অনূভুতিতে আঘাত করতে না পারে।সভাপতির বক্তব্যে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রংপুর বিভাগের নয়টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গাইবান্ধা বাদে অন্য সব জেলার আমাদের কাউন্সিলরদের তালিকা দিয়েছে। এগুলো নিয়ে আরও বসব। কেউ বাদ পড়েছে কি না, ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা হবে। এই কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত নয়। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এটা চূড়ান্ত হবে।’খালিদ মাহমুদ বলেন,বারবার প্রধানমন্ত্রীর জীবনে হুমকি আসে। তাঁর নিরাপত্তাসহ সম্মেলনে যেসব বিদেশি আসবেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে।

আগামী ২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠিত দপ্তর উপকমিটির রংপুর বিভাগের প্রস্তুতি বৈঠক হয়।যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয় কয়েক বছর আগে নানা ও মায়ের দল আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নেন। পিতৃভূমি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে গত বছর তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়।২০১৪ সালে মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে পীরগঞ্জে কয়েকটি জনসভায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।৪৫ বছর বয়সী তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টারর দায়িত্বও পালন করছেন।সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দপ্তর উপকমিটির আহ্বায়ক ওবায়দুল কাদের, দপ্তর উপকমিটির সদস্য আবদুল মান্নান, এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল হোসেন, মাহমুদ হাসান প্রমুখ।