14344323_1186119231461142_6342818183264517924_nজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী দীপা রানী নাথের (২৫) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর কলাবাগান থানার কাঁঠালবাগানে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দীপা রানী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা কেউ বলতে পারেনি। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দীপা গলায় ফাঁস দেন। তিনি ওই এলাকার সুব্রত চৌধুরীর স্ত্রী । আজ দিপার স্বামী সুব্রত চৌধুরী কে গ্রেফতার করা হয়েছে, কলাবাগান থানার অফিসার ইন চার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত করলেই সব সত্য উঠে আসবে। এ ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-3জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী দীপা রানী নাথ (২৫) গত শুক্রবার মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়েছে। দীপার বাবা দীজেন্দ্র লাল দেবনাথ বলেন, আমার মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষিত, বুদ্ধিমতি এবং সচেতন। সে সবসময় অপমৃত্যুর বিপক্ষে কথা বলত। সে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। মৃত্যুর দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দীপার স্বামী আমাকে জানায়, দীপা আত্মহত্যা করেছে ও দীপার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আছে। এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এদিকে দীপা রাণীর ‘হত্যার’ বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দীপার পরিবারের সদস্যরা। গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দীপার স্বামী সুব্রত চৌধুরী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।