bnp1

পূর্বের মতো ইপিতে ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আজকে স্থগিত হয়ে যাওয়া ৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (ইউপি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের মতোই বিভিন্ন অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি ও সন্ত্রাসের গতি তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। ইউপিতে ছোটখাট চুরি-ডাকাতি নয়, বরং ব্যাপকভাবে চরদখলের মতো ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব চালানো হচ্ছে।তা ঠেকাতে সরকারের ‘াবার স্ট্যাম্প’ নির্বাচন কমিশনের কোনো চেষ্টাই ছিল না বলে অভিযোগ দলটির।

অনিয়মের কারণে স্থগিত কেন্দ্র, শূন্য পদে উপ-নির্বাচন এবং সমভোট প্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে পুনঃভোট- এসবের সঙ্গে বিলুপ্ত ছিটমহল মিলিয়ে দেশের অন্তত পৌনে চারশ ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন পদে সোমবার ভোট হয়।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারচুপির অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, সেই পূর্বে যে তা-ব, বর্বরতা দেখছি; আজকেও সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভোট চুরি-ডাকাতি নয়, বরং ব্যাপকভাবে চরদখলের মতো ভোট কেন্দ্র দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে।

বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নাটোর, পিরোজপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, যশোরে কেন্দ্র দখল, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।রিজভী বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে- সকাল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারছে। ধানের শীষ প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করলেও কোনো অভিযোগ আমলে নেননি তারা। এসব দখলের সাথে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে।

‘ইসি’কে সরকারের রাবার স্ট্যাম্প’ আখ্যায়িত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এরা বিবেক দিয়ে চালিত নয়, তারা চাকরির লোভে আওয়ামী লীগ সরকারের তল্পিবাহক ও সেবাদাস হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সোমবারের ভোটের অভিজ্ঞতায় রিজভী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠির কুমতলবটাই পরিষ্কারভাবে আবার ফুটে উঠেছে।কারণ আওয়ামী লীগ বরাবরই জনগণকেই সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে টার্গেট করে, বিবেচনা করে। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনোভাবেই বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম আলিম, মোরতাজুল করীম বাদরু, শাহ নেসারুল হক উপস্থিত ছিলেন।