হাইকোর্ট

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী-পুত্রকে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ করলে বিচারিক আদালতকে তাদের জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করতেও বলা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এ মামলায় পূর্বে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেয়া হয়েছিল তার পরিবর্তে এখন দুদক নতুন করে তদন্ত করতে পারবে। একইসঙ্গে তাদের হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যেটা জব্দ ছিল তা ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জব্দই থাকবে বলেও রায়ে বলা হয়েছে। যেই অ্যাকাউন্টে ১৬ মিলিয়ন হংকং ডলার রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে মোরশেদ খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় তদন্ত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর ১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। ওইদিনই রায়ের জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য্য করা হয়।আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে মোরশেদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৩ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় কোনো মানি লন্ডারিং হয়নি। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন চলতি বছর ১৫ এপ্রিল বিচারিক আদালত গ্রহণ করলে মোরশেদ খান, নাসরিন খান ও ফয়সাল মোরশেদ খান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। এই মামলা পুনঃতদন্তের জন্য বিচারিক আদালতের আবেদন করে দুদক।

ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত গত ২ জুন দুটি আবেদনই খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের আদেশ কেন বাতিল এবং মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৫ জুন রুল জারি করে হাইকোর্ট।