হাইকোর্ট

কাজী রিয়াজুল হক কোন কর্তৃত্ববলে’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।রিটকারী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

রিট আবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২২ জুন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে ২০১০ ও ২০১৩ সালে দুই মেয়াদে কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রিয়াজুল হক। তৃতীয় মেয়াদে তার কমিশনে দায়িত্ব পালন ২০০৯ সালের ‘মানবাধিকার কমিশন আইনের এর লঙ্ঘন।

ওই আইনের ৬ এর ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে তিন বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, একই ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে দুই মেয়াদের অধিক নিয়োগ লাভ করিবেন না।ইউনুছ আলী বলছে, আইনের ২ এর জ উপধারা অনুযায়ী, চেয়ারম্যানও কমিশনের একজন সদস্য। ফলে রিয়াজুল হক টানা তৃতীয় মেয়াদে কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।আইনের ৬ এর ২ উপধারায় বলা হয়েছে, আইন বা বিচারকাজ, মানবাধিকার, শিক্ষা, সমাজসেবা বা মানবকল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্েয থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করতে হবে।

সাবেক সচিব রিয়াজুল হককে কমিশনের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই নিয়মেরও বত্যয় ঘটেছে বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করেছেন ইউনুছ আলী। তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের বিচারপতির সমতুল্য। সংবিধান অনুযায়ী ১০ বছর আইনজীবী অথবা বিচারক না থাকলে কেউ ওই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না।এসব যুক্তি দেখিয়ে গত ২৬ অক্টোবর কাজী রিয়াজুলকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন ইউনুছ আলী। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় গত বুধবার তিনি এই রিট আবেদন করেন।২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর রিয়াজুল হক কিছুদিন বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড টেইনিং ইনস্টিটিউট’ এর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আসেন মানবাধিকার কমিশনে।মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য বাছাই কমিটির প্রধান হলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি এ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে।