23072016191412_6215_

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ – বিপিএল নিঃসন্দেহে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আজ সবাই এই ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লীগ নিয়ে মাতোয়ারা। কিন্তু এই বিপিএলকে কেন্দ্র করে ধ্বংসের মুখে অধঃপতিত আজ বাংলার যুবসমাজ।

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে স্বনামধন্য অনেক ক্লাব, নামকরা অনেক মোড় রয়েছে যেখানে সন্ধ্যে নামলেই শুরু হয় বিভিন্ন বয়সী ছেলে-যুবকের আড্ডা, চায়ের কাপে ঝড়, হৈ-হুল্লোড়, হট্টগোল। তবে ইদানীং প্রতি সন্ধ্যায় এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে আরেকটি বিষয় – বাজিখেলা।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের সরকারপাড়া, হাজীপাড়া, শান্তিনগর, রোড, হলপাড়া, কলেজপাড়ায় নিয়মিতভাবে পুরো বিপিএলজুড়ে নির্বিঘ্নে চলছে এই বাজিখেলা। সরেজমিনে এসব এলাকায় গিয়ে ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ পাই।

মূলত এই বাজির ধরণটি হয় মূলত ওভার, ইনিংস বা ম্যাচভিত্তিক। প্রায় সব বয়সী ছেলে-যুবকেরা এই বাজিখেলায় অংশ নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরিচিত ভাই বাজির ধরণ সম্পর্কীয় এসব তথ্য দেন।

বাজিখেলায় দুই হাজার টাকা জেতা একজনের সাথে আড়ালে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সে জানায়, বর্তমানে খেলাধুলা মানেই বাজি ধরাধরি। বিপিএল, আইপিএলসহ প্রায় সব ধরণের খেলায় সে বিভিন্নজনের সাথে বাজি ধরে। কখনও টাকা আসে, কখনওবা টাকা যায়। এতেকরে সে একটা অন্যরকম আনন্দ পায় বলে জানায়।

মনের খোরাক পূরণের জন্য হোক আর যাই হোক, এটি যুবসমাজের জন্য কোনমতেই ভালো লক্ষণ নয়। অভিভাবক থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের প্রতিটি ব্যক্তিকে এই বিষয়ে সুনজর দেওয়ার দৃঢ় আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের বেলাতেই নয়, দেশজুড়ে নজরদারি বাড়িয়ে যুবসমাজকে এসব আধুনিক জুয়ার হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি