ফের আসিও

———————–
তুমি আসিও সন্ধ্যার লগনে
তোমার আগমনে জোনাকি যাবে বনে
ঝিঝি পোকা যাবে জোনাকির সনে
মিষ্টি গান শুনবে কোকিল আপন মনে।।
পড়শী তুমি আসলে নিশিতে
চন্দ্রের অালোতে বলবে কথা
দেখবে তুমি মুছবে ক্লান্তির ব্যাথা
প্রেমের সৌরভে দুজনের পরিচয় হবে যথা।।
বন্ধু!
তুমি আসলে শুনবে ভোরের পাখির ডাকা
আমার এই গাঁয় আঁকা-বাকা
এসো যদি আপন মনে
শান্তির পলক উড়বে মনে।
চৈত্র মাসের রৌদ্রছায়া
বন্ধু তোমার জন্য বাড়ছে মায়া
এই শীতে নিবিড় কুয়াশা
পড়শী তুমি আসবে এই মনের আশা।

এই মোর স্বদেশ

————————
সুবাসিনী, বঙ্গবাসীনী,প্রেমের পূজারি
ভালবাসার নক্ষত্র প্রতিম, সুখের প্রদ্বীপ
তুমি।তুমি প্রকৃতির রাজকন্যা।
তুমি নাও হাতে তুলে সুখের চেরাগ, মুছে দাও
অন্তর বিরহের রক্তিম সমুদ্রঝড়, প্রেমের রাজ্যয় ফুটে তুলো মহুয়া সুখের বন্যা।
কত চন্দ্রিমা ,সূর্যোদয় , দিবা,নিশি
কত ফাল্গুন, বর্ষা, শীত
কত মাহেন্দ্রক্ষণ কত যন্ত্রণা কর মন
বিষন্ন বিকাল্য প্রজার জন্য এক হস্তে
রক্তিম জল,অন্যহস্তে নিঃস্বার্থ প্রেম,নির্বাক, নির্লজ্য অনুপ্রাস
তুমি কিছু কে করনা তাচ্ছিল্য, তবু ও আরতি কর!
কত তোমার পায়েচলা,কত তোমার পিছু বলা
কত ক্ষুদ্র কত বৃহৎ কত পূণ্য কত পাপ
আমরা যেটুকু বলেছি মনের অজান্তে মানতে
তুমি ছেয়েছিলে সবটুকু ধ্যানের মাজে জানতে।
তুমি আর কত পথঘাট, রক্তিম জল
কষ্টের নীলজল,অন্তক্ষরা পথ,অন্দকার সীমানা
আর কত ক্ষুপ্ত পথে সুপ্ত হয়ে তারকাঁটা আর জলন্ত
কয়লার উপর দিয়ে পাড়ি দিবে দিকদিগন্ত।
শুধু তোমার বক্কে থাকা নবজাতকের জন্য।
তুমি পাপীষ্ঠদের উপর অভিমান, অনুরাগ তুলে
তাঁদের করেছ আপন সব দুঃখ ভূলে
আমাদের অারতির আর মিনতির ভাষ্য নাই
তুমি তো পিছু হাটতে পারবে না
আমরা যে মহা অসহায়।
হয়তো ঈশ্বর,যীশু, প্রেমের দেবী
কিংবা রাসূল,সর্বক্ষমতা ধর আল্লাহ
শুধাই এই দুঃখীদের নিবেদনের মর্মদহ
হয় তো তোমার ইচ্ছে প্রকাশ করবে।
তুমি তো মেনে নিতে পারবে ঐদিন সৃষ্টিধরেরর
অশ্রু চক্ষুর দিকে চেয়ে, এই মহা অানন্দের যে শেষ আরতি তোমার জন্য
স্বদেশর জন্য,তাই তো স্বদেশ প্রেম মহা পুণ্য।

সাজ্জাদ হোসেন