ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় লোকারণ্েয পরিণত হয়েছে, যেমনটি আগেই আশা করেছিলেন স্টলকর্মীরা। বেচাকেনাও বেড়েছে প্রায় সবগুলো স্টলে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের মেলা প্রাঙ্গণে অন্যদিনের তুলনায় বেশি সমাগম দেখা যায়।দুপুরের পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বেয়ে আসে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সারি। দর্শনার্থীদের পরিবহন, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মেলার বাইরে দায়িত্বে থাকা পুলিশ, শৃঙ্খলাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের।

দুপুরে মেলার অভ্যন্তরে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ স্টলে বেচাকেনার ধুম পড়লেও বিদেশি প্যাভিলিয়নে কয়েকটি স্টল এখনও ফাঁকা। ওই স্টলের পাশের দোকানগুলোতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এসব স্টলের বিদেশি ব্যবসায়ীরা একটু পিছিয়ে পড়েছেন। দুএক দিনের মধ্যেই তারা মেলায় চলে আসবেন।ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সপ্তম দিন চলছে। এদিন সকালে মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও বিকেলের দিকে তা বেড়েছে। মাসব্যাপী মেলার শেষার্ধে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন শনিবার সকাল ১০টায় মেলার ফটক উন্মুক্ত হলেও দুপুর পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা বা দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। হাতেগোনা কিছু সংখ্যক দর্শনার্থী ঘোরাফেরা করছিলেন এক স্টল থেকে আরেক স্টলে। তবে, দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। আর যারা এসেছেন তারা স্বস্তিতে করতে পারছেন কেনাকাটা।

জানা গেছে, প্রথম দিক মেলা থাকে অনেকটা ক্রেতা-দর্শক শূন্য। তবে, মেলার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিকেলে দর্শনার্থী বেড়েছে। সেই তুলনায় শনিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়েনি, বরং কমেছে। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা কেনাকাটা করার থেকে পণ্য দেখছেন বেশি। তারা বলছেন, এখন দেখবেন, কিনবেন শেষদিকে। তবে, মেলায় যেসব দোকানে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেখানে ভিড় কিছুটা বেশি।৫৮০টি দোকান নিয়ে শেরে বাংলা নগর সচিবালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসেছে এ বাণিজ্য মেলা। মেলায় সব দোকান এখনও পূর্ণ হয়নি বলেও জানান আয়োজকরা। মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থেকে শনিবার মেলায় দর্শনার্থী কম, তবে বিকেলে তা কিছুটা বেড়েছে। মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার থেকে মেলায় দর্শনার্থী আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।এদিকে, মেলায় বিকেলে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বাড়লেও কেনা-কাটার থেকে ঘুরে বেড়ানো, সেলফি তোলাতেই ব্যস্ত দেখা গেছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, তথ্য কেন্দ্রের আশেপাশে ছবি তুলছেন, আড্ডা দিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।তবে, যারা সামান্য কেনাকাটা করছেন, তারা বেশ স্বস্তি নিয়েই করতে পারছেন। দর্শনার্থী আফতাবুজ্জামান বলেন, এখন লোকজনই নেই। তাই কেনাকাটায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানায়, মেলার মাত্র সপ্তম দিন চলছে। সামনের দিনগুলোতে দর্শনার্থী বাড়বে মেলায়।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে মেলার গেট। বড়দের জন্য ৩০ টাকা এবং ছোটদের জন্য ২০ টাকার টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে মেলায়।