রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিন গত মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন।যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শুক্রবার বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষে রুশ নেতা ‘হস্তক্ষেপের’ নির্দেশ দিয়েছিলেন।মস্কো গোয়েন্দাদের এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়া ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে ট্রাম্পকে ব্রিফ করার পর তিনি মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ খাটো করে দেখা থেকে বিরত থেকে কেবল বলেন, এতে নির্বাচনের ফলাফলে কোন প্রভাব পড়ে নি।পঁচিশ পৃষ্ঠার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে সুবিধা দিতেই ক্রেমলিন এ কাজ করেছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মানুষের বিশ্বাসকে হেয় করা এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে খাটো করা, নির্বাচনে তার জেতার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন নির্দেশ দিয়েছিলেন।প্রতিবেদনে পুতিনের ভূমিকার বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে রাশিয়ার বেশ কিছু কর্মকান্ডের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি ও শীর্ষ ডেমোক্রাটদের ই-মেইল হ্যাক করা হয়েছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য প্রকাশে উইকিলিকস, ডিসিলিকস ডট কম ও গুসিফার ২.০ পারসোনার মত মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে।হ্যাকিংয়ের জন্য সরাসরি দায়ি রাশিয়ার চরের পরিচয় যুক্তরাষ্ট্র জানতে পেরেছে বলে গোয়েন্দারা দাবি করেছেন। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

গোয়েন্দা প্রধানরা ট্রাম্পর্কে ব্রিফ করার পর শুক্রবার সংক্ষিপ্ত আকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন কাঁটছাট করে এর মূল প্রতিপাদ্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে।নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প রাশিয়ার হ্যাকিং নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি সম্পর্কে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ব্রিফিংয়ের পর এক বিবৃতিতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ব্যাপারে কোন মন্তব্য না করলেও বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাদের কাজের প্রতি তার ব্যাপক সম্মান রয়েছে।তিনি বলেন, রাশিয়া, চীন কিংবা অন্যান্য দেশ, গোষ্ঠী বা মানুষ বারবার ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটিসহ আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী কেন্দ্র ও সংস্থার সাইবার অবকাঠামো ভাঙার চেষ্টা করছে। তবে এতে নির্বাচনের ওপর কোন প্রভাব পড়েনি।