মাসব্যাপি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।বাংলা একাডেমির আয়োজনে একাডেমির মূল চত্বর ও একাডেমি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টলের কাঠামো তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে।অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমি চত্বর ব্যতীত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরের ৫ লাখ স্কয়ার ফুট জায়গা গ্রন্থমেলার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, সেখানে প্যাভিলিয়ন ছাড়া সাড়ে ৬শ’ ইউনিটের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। তবে এ চত্বরে প্যাভিলিয়নও থাকবে ১৩টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির হবে ২টি।সদস্য-সচিব বলেন, এবার স্টলের জন্য সাড়ে ৪শ’ প্রকাশনা সংস্থা আবেদন করেছে। এর মধ্যে নতুন (এবারই প্রথম) ৬৬টি প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে ১১টি নতুন সংস্থাকে স্টল দেয়ার ব্যাপারে মেলা কমিটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর প্যাভিলিয়নের জন্য আবেদন পড়েছে ২৫টি সংস্থার। লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর জন্যও প্রায় একশ’ স্টলের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।

গতবছর সে সকল প্রকাশনা সংস্থাকে নানা অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, এবার তাদের স্টল দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার স্টল বরাদ্দের লটারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃহস্পতিবারের আগে স্টলের নাম্বারিং করা সম্ভব না হয়, তাহলে রোববার লটারি অনুষ্ঠিত হবে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু কর্নারকে এবার বেশ আকর্ষণীয় করে সাজানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের এ চত্বরটিতে প্রবেশের জন্য আলাদা গেইট থাকবে। ৬০ ইউনিট নিয়ে গড়া পুরো চত্বরটি নানা রঙ-বেরঙের লাইটিংয়ে সাজানো হবে। থাকবে শিশুদের জন্য খেলার সামগ্রী। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থমেলা চত্বরের পরিবেশ নান্দনিক ও মনমুগ্ধকর করতে ২টি ফোয়ারা, চত্বর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ফুলের চাড়া রোপণ, স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল ও আড্ডার জন্য উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়েছে অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি।পাঠক-দর্শনার্থীদের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে এবার খাবারের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেলা কমিটির এ সদস্য সচিব জানান, সেখানে খাবারের স্টল দেবে পর্যটন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থমলায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য যথাক্রমে ৩টি ও ৪টি গেইট থাকবে বলেও তিনি জানান।