রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকিরের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করে অন্যের জমি দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী। ভূমিদস্যুরা সবাই পল্লবী থানার স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী।বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন নুরুন নাহার নামে এক ভুক্তভোগী নারী।তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি দাদন ফকির। তিনি জানিয়েছেন, ওই নারী বর্তমানে ওই জমির মালিক নন।

সংবাদ সম্মেলনে নুরুন নাহার বলেন, ‘গত ৩০ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকিরকে নিয়ে ভূমিদস্যু হাজি বাতেন, শাহীন, স্বাধীন আমার পৈতৃক সম্পত্তি পলাশ নগরের সেনপাড়া পর্বতা মৌজার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে বাড়ি দখল করেছে। এ সময় আমাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া চারজন সদস্যকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়াও অনেক আগে থেকেই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছিল এই ভূমিদস্যুরা। কিন্তু এ বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলেও আমাদের মামলা ও জিডি নেওয়া হয় না। এছাড়া ওসি নিজেও আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।’

নুরুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, গোলাম কিবরিয়া স্বাধীন, হাজী বাতেন, শাহীন ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্থানীয়দের জমি দখল করে নিচ্ছে, বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। হাজি বাতেনের নামে ভূমিদস্যু পলাশনগর এবং ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এভাবেই জমি দখল করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তিনি বলেন, দাদন ফকির হাজি বাতেন ও স্বাধীনের সন্ত্রাসী বাহিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। এছাড়া তিনি টাকার জন্য সব করতে পারেন। তিনি স্থানীয় নিরীহ সাধারণ মানুষদের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার জমি ফেরত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে জমির সমস্ত লিগ্যাল কাগজপত্র রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলনের পর পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, সংবাদ সম্মেলনে সঠিক তথ্য দেননি নুরুন নাহার। ওসি দাবি করেন, নুরুন নাহারের পিতা ১৯৯৮ সালে জমিটি বিক্রি করে দেন। এরপর জমির মালিক সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে জমির দখল সত্ত্ব বুঝে নেন। আরও পরে তিনি জমিটি একটি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখায় জমির মালিকানা এখন এই দুই পক্ষের। কিন্তু, এতদিন পর নুরুন নাহার নামের ওই নারী স্থানীয় এক সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে জমিটি পুণরায় দখল করে সেখানে ঘর ওঠানোর চেষ্টা করায় জমির মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের ঘর তুলতে বাধা দেয়।