লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কোলের শিশুর জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে শিমা আক্তার (২৮) নামের এক নারী, নিজ বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ১৫ দিন পর অবশেষে মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

নিহত শিমা আক্তার উপজেলার বড়খাতা গ্রামের নুর ইসলাম বুলুর মেয়ে। দুই বছর আগে পাটগ্রাম উপজেলার ধবলগুড়ি গ্রামের মোর্শেদ হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির চার মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

শিমার বাবা নুর ইসলাম বুলু বলেন, আমার বাড়িতে গত ২৮ জানুয়ারি শিমা তার চার মাসের মেয়ের জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘর যায়। রান্না করার সময় তার কাপড়ে আগুন লাগলে সে দগ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শিমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই শিমার আজকে মৃত্যু হয়। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, অনেক চেষ্টা করেও আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। আল্লাহ যেন তার শিশু সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখেন। বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল শিমা আক্তারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি