কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এক গাড়ি চালককে মাঝ রাস্তায় সিজদা করালেন পুলিশের এসআই তৌহিদুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলা সদর চৌমুহনী চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।অপমানে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ গাড়ি চালক।লাঞ্চনার শিকার চালকের নাম মীর কাশেম (৫৫)। তিনি কক্সবাজার সদরের নাজিরারটেক এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।

বয়োবৃদ্ধ শষ্রুমন্ডিত এ চালকের সঙ্গে এমন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে।ভুক্তভোগী মীর কাশেম জানান, কক্সবাজার থেকে মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় তাকে থামান পুলিশের এক লোক।তিনি জানান, পুলিশ দেখে গাড়ি থেকে নামতেই তার গায়ে গাড়ি লাগার অযুহাতে গাড়ি চালককে কানধরে রাস্তায় সিজদার নির্দেশ দেন এসআই। এতে তিনি আপত্তি করলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের সামনে কানধরিয়ে রাস্তার মাঝখানে সিজদা করতে বাধ্য করান ওই এসাআই।নিজের ছেলের বয়সী এক পুলিশ অফিসারের কাছে এমন লাঞ্চনায় তার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে বলে উল্লেখ করেন ওই বয়োবৃদ্ধ চালক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এসআই তৌহিদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে পেকুয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগটি শুনেছি। আমি স্টেশনের বাইরে থাকায় বিস্তারিত জানিনা। দায়িত্বে থাকা ওসি তদন্তের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করেন তিনি। যোগাযোগ করা হলে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, এসআই তৌহিদ এক চালককে রাস্তায় কান ধরিয়ে সাজা দিয়েছেন শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, এটি মানবাধিকার লংঘনের সামিল। চালক হিসেবে তিনি কোনো অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন সদস্যের কাজ। তিনি কোনোমতেই কাউকে জনসম্মুখে লাঞ্চিত করতে পারেন না।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, অভিযোগটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।