পুলিশ ইন্সপেক্টর অব জেনারেল শহিদুল হক ও বাংলাদেশ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলা একাডেমির একুশে বই মেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের স্টল “যুবজাগরণ” পরিদর্শন, মন্তব্য বইতে স্বাক্ষর এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এর পতাকাবাহী সংগঠন হলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। এ দর্শনের মূল কথা হলো সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্র জনগণ। জনগণের ক্ষমতায়নের বাস্তবায়নের ফলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন বোঝাননি। উন্নয়ন মানে হলো- জাতির শিক্ষার উন্নয়ন। সংস্কৃতির উন্নয়ন। মেধা ও মননের বিকাশ ও উন্নয়ন। আর এই সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না যদি আমরা ইতিহাসের আঁকড় সন্ধান না করি। সত্য সন্ধান না করি। ইতিহাসের পথ ধরে সত্য অনুসন্ধান, শিক্ষা ও মেধার লালনের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রকাশনা কার্যক্রম নিয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নে যুবলীগ নানামূখী কর্মসূচীর এটি অন্যতম। কোন জাতির সামগ্রিক উন্নতির প্রতিফলন ঘটে সেই জাতির বইপত্রে, দালান কোঠা, ব্রিজ, কালভার্ট প্রভূতি অবকাঠামোর সংখ্যার দিয়ে নয়। সৃষ্টিশীল মননশীল ও গবেষণামূলক দুই ধরনের বই-ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা এক আলোকিত, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মান করতে চাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতির এটাই এখন মূল ধারা। যে ধারার প্রবর্তক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। কেন বইমেলায় আমরা যাই-বইমেলা, পর্যটন মেলা, বাণিজ্যমেলা, মিলনমেলা-নিত্যনতুন চিন্তা ধারা কিংবা চিন্তাবিদদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়। নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে চাইলে বই আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। দুটো শব্দ-বুক ও ফেয়ার। একটি বই ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অব বুকস। এই মেলায় মানুষের আগ্রহ এত বেশী যে শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকেও গ্রন্থপ্রেমী বাঙালিরা এতে অংশ নেয়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ১লা ফেব্র“য়ারি উদ্বোধন বক্তৃতায় বলেছেন-এই বই পড়ার অভ্যাস তরুণদের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করতে পারে। মানুষের মনের অন্ধকার ঘোচাতে বই পড়া বা জ্ঞান অন্বেষণের কোন বিকল্প নেই। পৃথিবীর আর কোন বইমেলাই এতদিন ধরে চলে না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই পৃথিবীর দীর্ঘদিনব্যাপী আয়োজিত একটি বইমেলা।

এ সময় ইন্সপেক্টর অব জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ শহিদুল হক বলেন- যে যেখানে কাজ করেন না কেন, জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ‘যুবজাগারণ’ কর্তৃক প্রকাশনার জন্য যুবলীগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন- যুবজারগণের এই প্রকাশনা থেকে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হারুনুর রশীদ প্রসিডিয়াম সদস্য ড. আহম্মেদ আল কবির, শহীদ সেরনিয়াবাত, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আতাউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুর ইসলাম মিজু, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাজ্জাদ হায়দার লিটন, শ্যামল কুমার রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ইন্সপেক্টর অব জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ শহিদুল হক ও বাংলাদেশ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হাতে যুবজাগরণের প্রকাশিত বই তুলে দেন।