যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল বুধবার সন্ত্রাসী হামলায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গ সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আমাক নিউজ এজেন্সি এ কথা জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।আমাক বার্তা সংস্থাটি আইএসের।যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল বুধবার সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ওই হামলাকারী। এ ঘটনা যখন ঘটে, তখন পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন চলছিল। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।বুধবারের ঘটনার দায় বৃহস্পতিবার স্বীকার করল আইএস।এর আগে যুক্তরাজ্যের এক্সপ্রেস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলা উদ্যাপন করছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ওই হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হন। আহত হয়েছেন ২৯ জন।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, নিহত চারজনের মধ্যে হামলাকারী রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।যুক্তরাজ্যের পুলিশ ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বিবেচনা করছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিমানবন্দর ও মেট্রোস্টেশনে একযোগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার এক বছর পূর্তির দিনেই লন্ডনে এ ঘটনা ঘটল। ব্রাসেলসের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৩২ জন।যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরের এই সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা, হামলাকারীসহ পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন।যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে বুধবারের রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলা উদ্যাপন করছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যুক্তরাজ্যের এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

লন্ডনের স্থানীয় সময় দুপুরে ওই হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হন। আহত হয়েছেন ২৯ জন।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, নিহত চারজনের মধ্যে হামলাকারী রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা’বলে বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ।তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের সাবেক প্রধান ও অপরাধবিদ্যা বিশেষজ্ঞ আহমেত ইয়ালার ভাষ্য, হামলার ঘটনায় আইএসের একটি অনানুষ্ঠানিক টেলিগ্রাম চ্যানেলের বার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে। দ্য সান বলছে, আইএসের সমর্থকেরা সামাজিক মাধ্যমে লন্ডনে হামলার ঘটনাটি উদ্যাপন করছে।জঙ্গিদের ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারিতে যুক্ত ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের প্রধান রিটা কাৎজ তাঁর টুইটারে লিখেছেন, আইএসের সমর্থকেরা অনলাইনে এই হামলার ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। তারা এই হামলাকে রক্তের বদলে রক্ত বলে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, এ ঘটনা ইরাকের মসুলে যুক্তরাজ্যের বিমান হামলার প্রতিশোধ।