বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির তৃতীয় দিন আজ দুই শিশুসহ আরও ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন নয় জন। এ নিয়ে এই ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হল।নৌবাহিনী, কোস্টগাড,পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথবাহিনী এ সব লাশ উদ্ধার করে।বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পানগুছি নদীর পাঁচটি পৃথকস্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ৮ জন হলেন, মোরেলগঞ্জের ভাষানদল গ্রামের শিশু সাজ্জাত (০২), কাছিঘাটা গ্রামের শিশু নাজমুল(৬) ও শেখ আব্দুল মজিদ (৬৫), বলইবুনিয়া গ্রামের সালমা বেগম (৩০), আলতু-বুরুজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান হাওলাদার (৬০), পোলেরহাট গ্রামের আনছার আলী হাওলাদার (৫৩), শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবির আল-সামস্ (১৬) ও কালিকাবাড়ী গ্রামের রফিক শেখ (৩২)।সকালে এসব লাশ উদ্ধারের পর আত্মীয়স¦জনের আহাজারিতে মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর দুই তীরে এক শোকার্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এখনো অনেকে তাদের স্বজনদের লাশের সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটাছুটি করছেন। এদিকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকৃত লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীদের ১৪টি টিম ট্রলার নিয়ে পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন এলাকায় লাশের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে অন্তত ৮০ যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবে যায়। এর পর ওই দিনই মা-মেয়েসহ চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ১৮ জন নিখোঁজের তালিকা করে।