দেশের অন্যতম কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সাযযাদ কাদিরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।প্রয়াত সাযযাদ কাদিরের গ্রামের বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার মৌলভীপাড়া জামে মসজিদে বাদ জুম্মা তৃতীয় জানাজা শেষে আজ তাকে দাফন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রদুত ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল আলম শহীদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ, টাঙ্গাইলে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন জানাজায় অংশ নেন।এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাযযাদ কাদির ১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি বাংলা সাহিত্যের ষাটের দশকের অন্যতম কবি, গবেষক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত। সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ ¯œাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইল করটিয়ার সা’দত কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন।সাযযাদ কাদির একাধারে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। কবি সাযযাদ কাদিরের মৃত্যুতে জেলার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা মরহুমের রুহের শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছেন।