ইচ্ছে জাগে স্বপ্ন দেখার। ইচ্ছের আকাশে রঙিন ঘুড়ি উড়াতে কার না ভালো লাগে। কারো কারো জীবনে এই স্বপ্নগুলো কল্পনার চেয়েও ঝাঁ চক চকে হয়ে ধরা দেয়। আবার কারো কার জীবনে এই স্বপ্নেরাই ফোটে সাদা-কালো ছবির মতো বিবর্ণ হয়ে। তো, স্বপ্নেরা বাস্তবতার আলোয় প্রস্ফুটিত হোক আর নাই হোক, স্বপ্ন দেখা তো আর থেমে থাকে না। তবে তো জীবনটাই হয়ে যেতো স্থবির, রঙহীন আর ম্রিয়মান। তাই স্বপ্ন দেখা এ প্রজন্মের তরুণী নারিসা। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, অভিনয় ও অন্যান্য কাজে মনোযোগী ছিলেন। ছোট বেলা থেকে গান শুনতে শুনতে বেড়ে উঠা, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পি মা বিনু আহমেদের কাছ থেকে গানের হাতেখড়ি।

এ্যাকটেল (বতমান রবি) বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিডিয়াতে নারিসার অভিষেক। নারিসা বলেন, প্রথম বিজ্ঞাপন দিয়ে আমি ব্যাপক পরিচিত পাই। তারপর অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মডেল হয়েছি। যেমন নোকিয়া মোবাইল, নিপুন শাড়ী, উইমেনস ওয়ার্ল্ড, জেমস গ্যালারী, পূরবী জুয়েলার্স, শতরুপা জুয়েলার্স, অ্যারাবিয়ান জুয়েলার্স ইত্যাদি। এছাড়া ইবিজ ম্যাগাজিন, মিরর, ক্যানভাস ছাড়াও কিছু ম্যাগাজিনের মডেল হই।’ ছোটপর্দায় একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত হতে লাগলেন। কখনো মডেল, কখনো বা উপস্থাপক। নারিসা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের বাসিন্দা। ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি সিডনি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। নারিসা বলেন, অস্ট্রেলিয়া থাকার কারনে নিয়মিত কাজ করতে পারছি না, তবে ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে এসে স্থায়ী ভাবে কাজ করার। তিনি বলেন, ‘যখন অস্ট্রেলিয়াতে আসি তার আগে দুটো নাটকে কাজের অফার পেয়েছিলাম। সময় সল্পতা এবং দ্রুত অস্ট্রেলিয়াতে চলে আসায় সেগুলোতে কাজ করতে পারিনি। তার জন্য অনেক খারাপও লেখেছিল। তবে দেশে ফিরে অভিনয়ে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা পোষন করি। কারন প্রবাসে থেকে বুঝেছি অভিনয়ের মানুষরা নিজ দেশের মতো বাইরের জগতের মানুষের কাছে কতটা প্রিয়। আমিও সবার প্রিয় মানুষ হতে চাই; মানসম্পন্ন কাজ ও নান্দনিক অভিনয় দিয়ে। নিজেকে শোবিজে তুলে ধরতে চাই চ্যালেঞ্জিং চরিএে অভিনয় করে। সেটা ছোট বা বড়পর্দার যে মাধ্যম হউক না কেন। তাই সম্প্রতি নারিসা বাংলাদেশে এসেছেন তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরনের জন্য। এখন নিয়মিত কাজ করতে চান মিডিয়াতে। তিনি বলেন, কয়েকটি কাজের ব্যাপারে কথা চলছে সব কিছু ঠিকঠাক হলে জানাবো। মিডিয়াতে কাজ করার সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা কার কাছ থেকে পেয়ে ছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নারিসা বলেন, ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, অভিনয়ে মনোযোগী ছিলাম। আমি ফ্যাশন করতে খুব পছন্দ করতাম। শোবিজের কাজ গুলো সব সময়ই আমার ভালো লাগতে। স্বপ্ন দেখতাম শোবিজে কাজ করার। ছোটবেলা মায়ের কাছেই থেকে গান শেখি। সম্প্রতি নারিসা একটি থাই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০০৬ সালে তিনি ওয়াইজিটিএল মোষ্ট ইন্টালিজেন্স অ্যাওয়ার্ড অজন করেন।

রুহুল আমিন ভূঁইয়া