বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার আমতলী ও দক্ষিণ পূর্ব পালং পাড়া এলাকায় বনের ভিতরে পাহাড় কেটে চলছে অবৈধভাবে ইটভাটা। স্থানীয় প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে দিবালোকে পরিবেশ ধংস করে আইনের তোয়াক্কা না করে ইটভাটা ২টি প্রকাশ্যেই পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। উক্ত এলাকায় ইটভাটা তৈরির জন্য অবাধে পাহাড় কাটা হলেও প্রশাসন কিংবা পুলিশ এসব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে গ্রহণ করছে না কোন আইনি ব্যবস্থা।জানা গেছে, আলীকদম সদর থেকে থানচি সড়কে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ পূর্ব পালং পাড়ায় অবস্থিত ব্রিকফিল্ড এফবিএম ও ৩ কিলোমিটার দূরে আমতলী কাকলাম মুরুং কারবারী পাড়ায় অবস্থিত ব্রিকফিল্ড ইউবিএম।

ব্রিকফিল্ড গুলোতে দুইটি বুলড্রোজার ও একটি স্কেভেটর দিয়ে দিনে রাতে পাহাড় কেটে চলছে ইটভাটা। সরকারি কোন মহলেরই কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই গত ৪/৫ মাস ধরে প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কর্তনযজ্ঞ চললেও পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। ইটভাটা স্থাপনে বৈধ কাগজ পত্র বা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি ইটভাটার লোকজন। তবে ইট ভাটা গুলোতে ড্রাম দিয়ে তৈরি অস্থায়ী চিমনী ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইট পোড়ানোর জন্য মজুদ করা হচ্ছে জ্বালানী কাঠও। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসি জানান, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারাই অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় আশপাশের পাড়ার বাসিন্দারাসহ অনেক শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ। এটি বন্ধের জন্য প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না করলে আশপাশের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। অবৈধ ইটভাটা দ্রুত বন্ধের ব্যবস্থা নিতে ও ভাটায় জ্বালানী কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ইটভাটায় সরেজমিন পরিদর্শন করে বৈধ কাগজ পত্র কিংবা কতৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা এবং পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে কিনা দেখে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক মাসুদ করিম বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আলীকদম উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।