নির্বাচনের ১৬ মাস পর মামলার রায়ে পৌর কাউন্সিলর পদ হারালেন আবুবক্কর। পরাজিত হয়েও আদালতের রায়ে শপথ নিলেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার মু-ুমালা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মুন্টু। রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে শপথ গ্রহন করেন তিনি। শপথ বাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান। জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর মু-ুমালা পৌরসভার নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মুন্টুর চেয়ে ১৭ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন আবুবক্কর।। সে সময় তিনি ফেরারী থাকায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি ছিল। কিন্তু নির্বাচনে নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেয়া হলফনামায় সে বিষয়টি গোপন করে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।

নির্বাচনের হারার পর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোহাম্মদ হোসেন মুন্টু সকল তথ্য উপাদি সংগ্রহ করে ২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে রাজশাহীর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ মাস দুইপক্ষের যুক্তির্তক শেষে সন্ধিহান ভাবে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার প্রমানিত হওয়াই ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত রাজশাহী বিচারক মো. গোলাম কবির আবুবক্কারের কাউন্সিলর পদ বাতিলের রায় দেয়া হয়। সেইসঙ্গে আর কোন প্রার্থী না থাকায় ওই ওয়ার্ডের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ হোসেন মুন্টুকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে ১২ ডিসেম্বর আবুবক্কার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালত রাজশাহী আপীল করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারী তার আপীলে শোনানী শেষে পূর্বে রায় বহাল রাখে আদালত। ফলে আবু-বক্কার কাউন্সিলরের পদ হারান।
মামলার কপি পাওয়ার পরে ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে মু-ুমালা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুবক্কারকে অযোগ্য এবং মোহাম্মদ হোসেন মুন্টুকে বৈধ করে গেজেট পাশ করা হয়। সে গেজেটের কপি নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। সেই সুবাদে মোহাম্মসদ হোসেন মুন্টুকে ৩০ এপ্রিল শপথ গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি