দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরিসহ মোট ১০টি বোর্ডের গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ ভাগ। গত বছর এই ১০ বোর্ডের গড় পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২৯ ভাগ। এবার পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৯৪ ভাগ। মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।এ বছর পাসের হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী বোর্ডে, ৯০ দশমিক ৭০ ভাগ এবং সবচেয়ে কম কুমিল্লা বোর্ডে, ৫৯ দশমিক ০৩ ভাগ।এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। এরমধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। এবার ৫ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ কম পেয়েছে।
এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। এবার এ সংখ্যা ২ হাজার ২৬৬টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৭৩৪টি। এবার কমেছে ২ হাজার ৪৬৮টি। কোন শিক্ষার্থীই পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ৯৩টি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৫৩টি। পাস না করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৪০টি।দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলপত্র তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে দু’টি জেলার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে গতবারের তুলনায় এবার গড় পাসের হার ও জিপিএ ৫ দু’ই কমার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করার পদ্ধতি ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টার কারণে পাসের হার ও জিপিএ দু’ই কমে এসেছে।
আগে খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ত্র“টি দূর করার জন্য গত ৩ বছর যাবত মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এবার সকল শিক্ষাবোর্ডে ২৩টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা এবং অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।নাহিদ বলেন, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবমূল্যায়ন ও অতিমূল্যায়ন রোধে বোর্ডসমূহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রধান পরীক্ষকগণদের উত্তরমালা প্রণয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রণীত নমুনা উত্তরমালার আলোকে উত্তরমালা মূল্যায়নে পরীক্ষকগণকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।তিনি বলেন, উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর এবার বেশকিছু উত্তরপত্র একাধিক পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন ও পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, আগের মতো নম্বর প্রদানে তেমন তারতম্য দেখা যায়নি। আর এ কারণেই এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫-এ প্রভাব পরেছে।
নাহিদ বলেন, এ বছর ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, যশোর, বরিশাল ও দিনাজপুর এ ৮টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ২২ হাজার ৩৭৯ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ২৮৪ জন। এ ৮ বোর্ডের পাসের গড় হার এবার ৮১ দশমিক ২১ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল ৮৮ দশমিক ৭০ ভাগ। পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ ভাগ। ৮ বোর্ডের এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন, গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৬৯ জন। এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে ১ হাজার ১৯৫ জনের।তিনি বোর্ডভিত্তিক পৃথক হিসাব তুলে ধরে বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে এবার ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৯ ভাগ।রাজশাহী বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪০৬ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৭০ ভাগ। পাসের হার সবচেয়ে বেশি এবার রাজশাহী বোর্ডে।
কুমিল্লা বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১১ জন। পাসের হার ৫৯ দশমিক ০৩ ভাগ। পাসের হার এবার সবচেয়ে কম কুমিল্লা বোর্ডে।
যশোর বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৯৫ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ০৪ ভাগ।চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৯ হাজার ২২ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৯ ভাগ।
বরিশাল বোর্ড থেকে এবার ৯৩ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭২ হাজার ৩৫৮ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৪ ভাগ।সিলেট বোর্ড থেকে এবার ৯৩ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৫ হাজার ৩৭৪ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ২৬ ভাগ।
দিনাজপুর বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৮ ভাগ।মাদরাসা বোর্ডের পাসের বিবরণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাদরাসা বোর্ড থেকে এবার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫১ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ ভাগ। গতবছর পাসের এ হার ছিল ৮৮ দশমিক ২২ ভাগ। পাসের হার এবার কমেছে ১২ দশমিক ০২ ভাগ। এ বোর্ড থেকে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১০ জন। গতবছর পেয়েছিল ৫ হাজার ৮৯৫ জন। জিপিএ ৫ এবার কমেছে ৩ হাজার ২৮৫ টি।কারিগরি বোর্ড থেকে এবার ১ লাখ ৬ হাজার ২৩৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮৩ হাজার ৬০৩ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৯ ভাগ। গতবছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ১১ ভাগ। পাসের হার কমেছে ৪ দশমিক ৪২ ভাগ। এ বোর্ডে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জন, গতবছর এ সংখ্যা ৭ হাজার ৯৭ ছিল বলে তিনি জানান।বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ৮টি সাধারণ বোর্ড থেকে ৪ লাখ ২২ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭২ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৩৫ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৯ ভাগ। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার ৯২ হাজার ৩৮ জন। গত বর্ছ এ সংখ্যা ছিল ৮৯ হাজার ৩৮৪ জন। জিপিএ ৫ এবার বেশি পেয়েছে ২ হাজার ৬৫৪ জন।তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ হাজার ৬৮১ জন এবং সেই সাথে বেড়েছে পাসের সংখ্যাও এবং তা ৩২ হাজার ১২৬ জন।নাহিদ বলেন, এই ৮ বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে এবার ৬ লাখ ৪ হাজার ৪৯৯ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হ্জাার ৫৭৩ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৮ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ১০৩ জন।
তিনি বলেন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪২৩ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ২১ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৩ জন। বিদেশের ৮টি কেন্দ্র থেকে ৪৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪১২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ২৮ ভাগ এবং ১১২ জন জিপিএ- ৫ পেয়েছে।এবারও ৮টি সাধারণ বোর্ডে মেয়েরা পাসের হার ও সংখ্যায় এগিয়ে আছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ৭ লাখ ১ হাজার ৬৩৭ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৭ জন। ছেলেদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৭১ ভাগ। আর ৭ লাখ ২০ হাজার ৭৪২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮১ জন। তাদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৬৯ ভাগ।
তিনি বলেন, ছাত্রের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় ১৯ হাজার ১০৫ জন ছাত্রী বেশি অংশগ্রহণ করেছে এবং পাস বেশি করেছে ২২ হাজার ৪৯৪ জন। পাসের হার মেয়েদের বেশি শূন্য দশমিক ৯৮ ভাগ।তবে ১০ বোর্ডের মধ্যে ছাত্রীর তুলনায় ছাত্রের সংখ্যা ও উত্তীর্ণের সংখ্যা উভয়ই বেশি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখানে ৯ লাখ ১০ হাজার ৩৩৭ জন ছাত্র পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮ জন। আর ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪ জন। কিন্তু পাসের হারের ক্ষেত্রে মেয়েরা শূন্য দশমিক ৮৫ ভাগ এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৩ ভাগ ও মেয়েদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৭৮ ভাগ।গত বছর এ পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে পাঁচ হাজার।ফলাফল হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পাসের হার কমায় তিনি বিস্মিত নন।এবার শান্তিপূর্ণ, নকলমুক্ত পরিবেশে সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার পাসের হার অন্যান্য বছরের চেয়ে কম। এক্সামিনাররা খাতা নিয়ে যেত, কিন্তু ভালো করে দেখত না। এবার খাতা দেখার ক্ষেত্রে গাফলতি ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাতা দেখার পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সময়োপযোগী।যারা এবারের পরীক্ষার কৃতকার্য হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি ছেলেদের আরও মনোযোগী হতে বলেন। হাওর, দ্বীপ ও পার্বত্য অঞ্চলে আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে- সেটা চাই না।গত ২ ফেব্র“য়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত এবারের এসএসসির তত্ত্বীয় এবং ৪ থেকে ১১ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়।দশ বোর্ডে এবার মোট ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।মন্ত্রী জানান, আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।আট বোর্ডে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন, দাখিলে ২ হাজার ৬১০ জন এবং কারিগরিতে ৪ হাজার ১৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হারে এবারও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ৭৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছাত্রের বিপরীতে ৮০ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিকে পাস করেছে।
যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।ঝঝঈ/উঅকঐওখ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে, এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে।এছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট(যঃঃঢ়://িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ) থেকেও পরীক্ষার্থীরাফলজানতেপারবেন।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো(িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ)ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবে। বোর্ড থেকে ফলাফলের কোনো হার্ডকপি সরবারহ করা হবে না।তবে বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফলাফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে আগামী ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হবে।আবেদনে সম্মত থাকলে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে।একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।