বাবার বাড়ি বেড়াতে যেতে চাওয়ায় গাজীপুরের শ্রীপুরে শুক্রবার বিকেলে ভাইয়ের সামনে এক নববধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার পাষন্ড স্বামী ও শ^াশুড়ি। এলাকাবাসি নিহতের ঘাতক স্বামী সজিব (২৩) ও শ্বাশুড়ী হোসনেয়ারাকে (৪৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহতের নাম নুরুন্নাহার (১৮)। সে সিরাজগঞ্জ জেলার হোসেনপুরের কুটিবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।

শ্রীপুর মডেল থানার এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার ধানভাংগি এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে সজিবের সঙ্গে গত ২৬ মার্চ নুরুন্নাহারে বিয়ে হয়। মা হোসনেয়ারা বেগম ও নববধূকে নিয়ে সজিব গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিন ভাংনাহাটি গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থাকে। সজিব ও তার মা স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকুরী করে। শুক্রবার সকালে নুরুন্নাহারকে বাবার বাড়ি বেড়াতে নিতে তার ছোট ভাই সানোয়ার শ্রীপুরে বোনের বাসায় আসে। কিন্তু ভগ্নিপতি সজিব বাড়িতে না থাকায় নুরুন্নাহারের শ^াশুড়ি তাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাইরে বসিয়ে রাখে। দুপুরে সজিব বাসায় এসে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি করে এবং যৌতুক দাবী করে। এতে নুরুন্নাহার ক্ষুব্ধ হয়ে গালিগালাজ করলে সজিব উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং ভাইয়ের সামনেই নুরুন্নাহারকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে সজিব ও তার মা হোসনেয়ারা পাশের কক্ষে নিয়ে দরজা বন্ধ করে নুরুন্নাহারকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা সিলিং দিয়ে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে নুরুন্নাহারের লাশ দেখতে পায়। এসময় তারা ঘাতক স্বামী সজিব ও নিহতের শ^াশুড়ি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করে। খবর পেয়ে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার ও আটককৃতদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের ভাই সানোয়ার জানান, যৌতুকের দাবীতে সজিব ও তার মা নির্যাতন ও শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে। বাড়ির মালিক বাবুল মিয়া জানান, দরজা আটকিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর সজিব নিজেও আতœহত্যার চেষ্টা করে।