বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ অন্যরাবিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ অন্যরাদিনভর ভোট শেষে রাতে অনেক নাটকীয় ঘটনার জন্ম হয় এবারের চলিচ্চত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে। মধ্যরাতে তো ভোট গণনাকক্ষে শাকিব খানের ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল বেধে যায়। শেষ পর্যন্ত সব নাটকীয়তার অবসান ঘটে ঠিক হয়ে গেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নেতৃত্ব। নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তাঁরা ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে ২৫৯ ও ২৭৯। তাঁদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি পদে ওমর সানী ১৫৩ ভোট পেয়েছেন। অমিত হাসান পেয়েছেন ১৪৫ ভোট।

শনিবার সকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি জানান, নির্বাচিত এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। এবার ২১টি পদের বিপরীতে ৫৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট ভোটার ৬২৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫৮ জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ভোট নেওয়া শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়।

নির্বাচিত হওয়ার পর সকালে সঙ্গে আলাপে মিশা সওদাগর বলেন, সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসির সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার অভিজ্ঞতা বলে, কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রাণের সংগঠন শিল্পী সমিতি যে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছিল, কার্যকরী পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সেটাকে সচল করব। শিল্পীদের সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাব। বিদেশি চলচ্চিত্র আমাদের চলচ্চিত্রকে ক্রমেই গ্রাস করছে, এর বিরুদ্ধেও আমাদের যা কিছু করা দরকার করব।শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবরশিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবরসবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্যানেল তিনটি হলো ওমর সানী-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান এবং ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা। এর মধ্যে ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল আর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে জেসমিন, ফেরদৌস, মৌসুমী ও সুশান্ত। ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল থেকে শুধু কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে জয়লাভ করেছেন নাসরিন। বাকি সব কটি পদেই জয়লাভ করেছেন মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে।চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। এবার ১৪তম নির্বাচন হয়েছে।