গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছেলে রবিবার রাতে সন্ত্রাসীদেও গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ফয়সাল মিয়া (২৬)।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে ফয়সাল কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদগাতী গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি বাড়ির কাছে একটি কলাবাগানের পাশে পৌছলে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তারা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রিমনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। এসময় গুলিতে আহত ফয়সাল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টাকালে স্থানীয় কিরণ মিয়ার দোকানের সামনে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত ও থানার ওসি মো. আলম চাঁদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। খুনের কারণ এমুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, মৃত অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার বুকের ডান পাশে হাতের নিচে গুলি লেগেছে।

এলাকাবাসি আরো জানায়, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদগাতী গ্রামের সাইদুল ইসলাম উরফে মোসলে উদ্দিন মাস্টারের ছেলে রিমন (২৮) এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়া ১৯৭৩ সালে কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়কালে কালীগঞ্জ (বর্তমান গাজীপুর-৫ সংসদীয় আসন) হতে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এবং ১৯৮৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।