বগুড়ায় এক শিক্ষার্থী ও তার মাকে অমানবিক কায়দায় নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত অপর পলাতক ৩ আসামি শ্রমিকলীগের বহিস্কৃত নেতা তুফানের স্ত্রী আশা, তার গাড়ি চালক জিতু এবং সহযোগী মুন্নাকে রাজধানীর সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকেই গ্রেফতার করলো বগুড়া জেলা পুলিশ। শিমূল নামের অপর এক সহযোগী এখনও পলাতক রয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল রাত সাড়ে ১২ টায় বাকি ৩ আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ সদর দফতর ও সাভার থানা পুলিশের সহযোগিতায় রবিবার রাতে পালিয়ে থাকা আশা, জিতু ও মুন্নাকে ঢাকার সভার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সকাল নাগাদ তারা বগুড়ায় পৌঁছবে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বিস্তারিত জানাবেন।

এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মার্জিযা হাসান রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে পাবনা শহর থেকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। একই ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য রাত মোয়া ৮টার দিকে শহরের বাদুড়তলা এলাকা থেকে কাউন্সিলর রুমকির বাবা জামিলুর রহমান রুনুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি টিম।

গ্রেফতারকৃত নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার জাহিদ হাসানের স্ত্রী। তার মা রুমি বেগম শহরের বাদুড়তলা এলাকার জামিলুর রহমানের স্ত্রী। আর আটক রুমকির পিতা জামিলুর রহমান রুনু বাদুড়তলা এলাকার মৃত জিল্লার রহমানের বড় ছেলে। আশা কাউন্সির রুমকির ছোট বোন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী জানান, আলোচিত এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রুমকি ও তার মা রুমি বেগম, ছোট বোন আশা, গাড়ি চালক জিতু এবং সহযোগী মুন্না ও শিমূল ঘটনার পরই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর থেকে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সেইসঙ্গে রুমকির পিতা জামিলুর রহমান রুনু কে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করার কথাও জানান তিনি।