পায়ে জুতা পড়ে ঠাকুরগাঁও সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকার বেদী উদ্বোধন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের ১২৭নং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নব-নির্মিত জাতীয় পতাকার বেদী উদ্বোধন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলী সরকার। এসময় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন, সভাপতি আলহাজ মজিবর রহমান, প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল ইসলাম মানিকসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীররা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০) বর্ণিত আছে, জাতীয় পতাকা অবমাননা করলে শান্তি পেতে হবে।

পায়ে জুতা নিয়ে জাতীয় পতাকার বেদী উদ্বোধনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অবমাননাকর কর্মকান্ডের বিচার দাবী করে মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন। সেই সাথে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সরকারের অপসারণের দাবী জানিয়েছেন। সুহারদ শুভ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বেদীর উপর জুতা পায়”। আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তিসা আক্তার তাবা লিখেছেন, “জুতা পায়ে বেদিতে এ তো ৩০ লক্ষ শহীদকে অবমাননা”।

আবুল খায়ের নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, জুতা পায়ে জাতীয় পতাকা বেদির উদ্বোধন কেন? এটা কি জাতীয় পতাকাকে অবমাননা নয়? ফেসবুক ব্যবহারকারী সিমথি আক্তার লিখেছেন, শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সরকার কী পাগল ? নাহলে সে কিভাবে জাতীয় পতাকার বেদীতে জুতা নিয়ে উঠে। তাঁর দৃষ্টান্তমুলক শান্তি দরকার।

জুনাইদ কবীর নামে আরেকজন লিখেন, ‘চরম অন্যায় এটা শিক্ষা কর্মকর্তা যদি এই শিখায় তাহলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে’। জুতা পায়ে পড়ে জাতীয় পতাকার বেদীতে উঠার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল ইসলাম মানিক বলেন, বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ ও জাতীয় পতাকার বেদী উদ্বোধন করার অনুষ্ঠান ছিল। এসব কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এজন্য বিষয়টি লক্ষ্য করিনি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় পতাকার বেদীটি উদ্বোধন করার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। এ কারণে তারাহুরোর মধ্যে জুতা পড়ে বেদীটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

জুনাইদ কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি