জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এক দশক আগের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন বাহাউদ্দিন নাছিমের বিরুদ্ধে এই মামলা করে।বহু ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে সে সময় এ ধরনের মামলা হয়েছিল, যার অনেকগুলোই পরে ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক’ বিবেচনায় বাতিল হয়ে যায়।

বাহাউদ্দিন নাছিমের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকা দুর্নীতির এ মামলার রায়ে বিচারক বলেন, সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, আসলে এটি একটি পেটি মামলা।ৃ আদালত মামলায় কিছু পায়নি বলেই খালাসের রায় দিয়েছে।মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ জুলাই নাছিমকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিস দিয়েছিল দুদক। ১৭ জুলাই নাছিম তার মা নূর জাহান বেগমের মাধ্যমে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন।দাখিল করা বিবরণীতে নাছিম নিজের ও স্ত্রী সুলতানা শামীমা চৌধুরীর নামে ২ কোটি ৭ লাখ ৬৬৮ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানান।কিন্তু ওই হিসাবে গড়মিল রয়েছে অভিযোগ করে ২০০৭ সালের ২১ নভেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় নাছিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ।এজাহারে বলা হয়, নাছিম নিজের ও তার স্ত্রীর ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এক কোটি ৮৩ লাখ টাকার সম্পদের মালিক তারা।তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। নাছিমের স্ত্রী সুলতানা শামীমাকে সেখানে অব্যাহতি দেওয়া হয়।অভিযোগপত্রভুক্ত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।