সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তারাপুর ইউনিয়নের বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর ইউপি সদস্য কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে জানা যায়, উপজেলা তারাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড নিজামখাঁ গ্রামের বয়স্ক ভাতা ভোগী বাছর উদ্দিন পিতা মৃত রমজান আলী, বয়স্ক ভাতা পিপি নং- ১০৪৬১, আছিয়া বেগম স্বামী মৃত আফাজ উদ্দিন (ছলিম) পিপি নং- ১০৪৬৬, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী বিপ্লব মিয়া পিতা বুলু মিয়া পিপি নং- ২২৩০, লুৎফা পিতা লুৎফর মিয়া পিপি নং- ২২৩৭, বিধবা ভাতাভোগী নবিজান বেওয়া স্বামী মৃত মতিন বসুনিয়া পিপি নং- ৪৫১৩, নুরি বেওয়া স্বামী মৃত রায়হান মিয়া পিপি নং- ৪৫১৬ এর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জুন হতে জুন ১ বৎসরের নতুন বইয়ের ভাতা বিতরণ করা হয়। ভাতা বিতরণের সময় বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীর জনপ্রতি ৬ হাজার ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী জনপ্রতি ৭ হাজার ২শত টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের পর উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন ভাতাভোগীদের কাছ থেকে টাকা ও বই হাতে নেন এরপর টাকা গুলো পকেটে ভরে খালি বই হাতে ধরিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ ব্যপারে ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে পরে কথা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য যে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কর্ম সৃজন প্রকল্পে দুর্নীতি করার দায়ে ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন ৬ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। এছাড়াও তার ওয়ার্ডে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে (টিআর, কাবিখা, কাবিটা) অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমানিত হওযায় তার নামে সেই সময় থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বর্তমান সময় পর্যন্ত তার বরাদ্দ প্রত্যাহার করে নেন।

শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি