গাজীপুর পৌর ভূমি অফিসের এক ওমেদারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বড় ভাইকে আটক করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে ৮বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে নিহতের ভাবী নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের নাম মোঃ মনির হোসেন (২৮)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূর্ব মারিয়ালী গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

জয়দেবপুর থানার এসআই এনায়েত হোসেন-১ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূর্ব মারিয়ালী গ্রামের বাড়িতে আনোয়ার হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। একই ভবনের পাশাপাশি কক্ষে থাকেন আনোয়ার হোসেনের বাবা-মা ও ছোট ভাই মনির হোসেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার সকালে আনোয়ার হোসেনের প্রথম সংসারের মেয়ে বিএআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী অর্পিতা আক্তার ঘুম থেকে জেগে উঠে। এসময় অর্পিতা তার সৎ মা ফাহমিদা আক্তার ও ছোট ভাইকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। বাড়ির লোকজন ফাহমিদার মোবাইলে ফোন করে তা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মনিরের কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। এসময় তারা ভিতরে প্রবেশ করে বিবস্ত্র অবস্থায় মনিরের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এসময় লাশের পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ছোরা উদ্ধার করা হয়। নিহতের পেটে ধারালো ছোরার একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এক সন্তানকে নিয়ে নিহতের ভাবী নিখোঁজ রয়েছে। মনির হোসেন গাজীপুর পৌর ভূমি অফিসে ওমেদারের কাজ করতো।

এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ভাবীর সঙ্গে অনৈতিক কোন সম্পর্ক ও পারিবারিক ঘটনার সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বড় ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক ফাহমিদাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করা হলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।