পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশের রাইটার ইজাজুল ইসলাম ওরফে ইজাজ (মামলা লেখক) নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলভনে দৈহিক সম্পর্ক করে প্রতারণা করেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই কলেজ ছাত্রী ইজাজ কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ক্ষোভে দুঃখে ওই কলেজ ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে (কলেজ ছাত্রী) চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে লম্পট ইজাজ। সে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের মোঃ আইনুল হকের ছেলে।

জানা গেছে, ইজাজ দীর্ঘদিন পুলিশের রাইটার (মামলা লেখক) হিসেবে কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিত। তার কৌশলগত আচরন ও থানার দারোগাদের সাথে প্রতিনিয়ত চলাফেরা ও সখ্যতা দেখে সাধারণ মানুষ তাকে পুলিশ বলেই জানতো। বিভিন্ন সময় সে এসআই ও এএসআই’দের সাথে মামলা তদন্ত করা থেকে আসামী ধরতে বিভিন্ন এলাকায় যেতো। সম্প্রতি সে চিরইল এলাকার এক গ্রাম পুলিশের মেয়ে ও চাটমোহর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের (ভোকেশনাল) এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে সে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। অতি সম্প্রতি ওই কলেজ ছাত্রী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে (ইজাজ) বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থানায় অভিযোগ দেন ওই কলেজ ছাত্রী।

অভিযোগ দায়েরের কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত লম্পট ও প্রতারক ইজাজকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারণার শিকার ওই কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একটি কুচক্রি মহল বিভিন্ন জায়গায় তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ইজাজকে আটক করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী ও তার পরিবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ইজাজ পুলিশের কেউ নয়। অভিযোগ পেয়েছি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।