গণপরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। আমরা নিয়মে আনার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক পাঁচ কোম্পানির অধীনে সাড়ে চার হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই পরিকল্পনায় আমিও যুক্ত ছিলাম। উত্তরের মেয়র অসুস্থ থাকায় দক্ষিণের পক্ষ থেকে আমরা সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো। বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার আগা সাদেক রোডে ‘বাংলাদেশ মাঠে’ জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন একথা বলেন।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াস রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী (সিইও) খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, ডিপিডিসির প্রতিনিধি, ওয়াসার প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতির প্রস্তাবক্রমে সবার সম্মতি নিয়ে আগা সাদেক রোডের নাম মেয়রের প্রয়াত মামা নাজির হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়।সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, বের হওয়া যায় না। গণপরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম। মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগ বাস্তবে রূপ দিয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফিরিয়ে আনবো।এসময় তিনি এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ মিলে আড়াই কোটি লোকের বাস। এখানে মাত্র ৫ শতাংশ লোক প্রাইভেটকারে চলাচল করেন, আর ২২ শতাংশ হেঁটে ও ২৮ শতাংশ রিকশায় চলাচল করেন, আর বাসে চলাচল করেন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ লোক। এজন্য আমাদের গণপরিবহন বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে গণ রিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। একই সঙ্গে পথচারীদের জন্য নির্মিত ফুটপাত সুন্দরভাবে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত খাকবে। যত ক্ষমতাধর লোকই হোক না কেন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে পারবে না বলে জানান মেয়র।আনিসুল হকের পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর ৫-৬টি কোম্পানির অধীনেই নামাতে হবে।