আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক আর স্বাধীনতার পাঠক এক বিষয় নয়। ইতিহাস নিয়ে যারা কানামাছি খেলে, জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো তাদের সঠিক জবাব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো প্রামাণ্য বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল এই মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রলীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা এই ভাষণটি যত্রতত্র বাজাই, শুনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, এটি যেন আমরা সবখানে না বাজাই। যে ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে, আমরা এটিকে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করব। এটির যত্রতত্র ব্যবহার উচিত নয়।’ ‘বিশেষ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, জাতীয় দিবস, ফেব্রুয়ারি মাস, মার্চ মাস, ডিসেম্বর মাসে এবং ক্ষেত্রবিশেষে এটির ব্যবহার করা উচিত।’

বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ১২ তারিখের সম্মেলনে কোনো মারামারি করলে সরকার ও পুলিশ বসে থাকবে না। সরকার জনস্বার্থে সব ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা বারবার ধরনা দিয়েও অনেক মিটিংয়ের অনুমতি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অনুমতি পেয়েছেন, এটাই সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল বলেন, ‘আপনাদের সম্মেলনের অনুমতি দিতে পুলিশও ভয় পায়। আপনারা নিজেরা মারামারি করে অনেক সম্মেলন পণ্ড করেছেন। দিনের শেষে প্রেস বিফ্রিং করে সরকারকে দোষ দিয়েছেন। এবার যেন তা না করেন।’

যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের জাতিসংঘ জবাব দিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘স্বাধীনতা নিয়ে জিয়াউর রহমানের একটি লেখা রয়েছে, যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার পরেও বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ায়। জাতিসংঘের স্বীকৃতি তাদের জবাব দিয়েছে।’

ছাত্রলীগের উদ্দেশে ওবায়দুল বলেন, ‘কোথাও কোনো ঝামেলা হলে কমিটি বিলুপ্তি কোনো সমাধান নয়। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। এতে সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।