নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান নিখোঁজের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রকাশক তানভীর ইয়াসীন করিমকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমন ঘটনা নাগরিক নিরাপত্তার জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় প্রকাশক তানভীর ইয়াসীন করিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, বুধবার ভোরে করিম ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশনা সংস্থার মালিক তানভীর ইয়াসীন করিমকে গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পোশাকধারী এবং সাদাপোশাকধারী পুলিশ। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি ডিবি’র লোক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো জিডি করা হয়নি। বাসায় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও পাওয়া যায়নি কাউকে। পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ জানান, প্রকাশক তানভীর ইয়াসীন করিমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। পরিবার থেকেও জানানো হয়নি কোনো তথ্য।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে শুধু রাজধানী থেকে নিখোঁজ হয়েছে ৯০জন। আর চলতি বছরে মাত্র পাঁচ মাসেই এ সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪২ জনে। নিখোঁজের এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এ ধরণের ঘটনা নাগরিক নিরাপত্তার জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করে আইনের শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, এ ধরনের ঘটনায় নাগরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আর একের পর এক এ ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে প্রশ্ন উঠতে পারে পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।