প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিজিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে পাবনার বেড়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানমের উপস্থিতিতে এবং তার নির্দেশে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর বেড়া উপজেলার ঘোপসেলন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাবু ওরফে পান্যা বাবু ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে ডেকে নেন। ওই সময় প্রবল বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ কম ছিল। সেখানে ডেকে নিয়ে আসন্ন সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন তিনি ছাত্রীটিকে একই স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরই এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটনার সময় ঘটনাটি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। এ খবর এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

খবর পেয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মোহন্তের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় ইউএনও গিয়ে ওই এলাকায় উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ঘটনার শিকার ছাত্রী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা থানায় এ ব্যাপারে ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’ বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। ওই ছাত্রীসহ সবার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।’