কম্বোডিয়ার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে বহুপাক্ষিক মাত্রায় রূপান্তরিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ার নমপেনে দু’দেশের মধ্যে ১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর যৌথ বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কম্বোডিয়াকে পাশে থাকার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই কম্বোডিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার কিছু আগে সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেয়া হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পিস প্যালেসে। এ সময় তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। রাষ্ট্রীয় রীতি মাফিক জাতীয় সংগীত বাজিয়ে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সালাম।

এরপর একান্তে বৈঠকে বসেন হুন সেন ও শেখ হাসিনা। দু’দেশের পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি উত্থাপিত হয় ওই বৈঠকে। পরবর্তীতে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পর্যটন শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, বাণিজ্য সংক্রান্ত যৌথ কাউন্সিল গঠনসহ ৯টি সমঝোতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।

পরবর্তীতে যৌথ বিবৃতিতে কথা বলেন দুই সরকার প্রধান। এ সময় চলমান সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক বহুপাক্ষিক মাত্রা পাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কম্বোডিয়ার প্রতি বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সীমিত সম্পদের অধিকারী বাংলাদেশ মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

অন্যদিকে হুন সেন বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আশা করছি আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতার এ বন্ধান আরও দৃঢ় হবে। বৈশ্বিক শান্তির হুমকি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাতেও দু’দেশ একযোগে কাজ করবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই শীর্ষ নেতা।