মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চ্যানেল আইকে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ঢাকা ‍উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মারা যাওয়ায় রোববার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। “আইন অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে আসিনুল হকের মৃত্যুর তিনদিনের মাথায় তার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো। সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী প্রজ্ঞাপণ জারির পর মেয়রের মৃত্যুর তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সিটি কর্পোরেশন আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনে মেয়াদ শেষ হবার ১৮০ দিনের আগে মেয়রের পদ শূন্য হলে পদটি শূন্য হবার ৯০ দিনের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে এবং যিনি ওই পদে নির্বাচিত হবেন তিনি সিটি কর্পোরেশনের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন।

উপ-নির্বাচন আয়োজনে ইসি প্রস্তুত বলে একাধিক নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানালেও বেশ কিছু যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে কিনা। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ উত্তরে যোগ হওয়া ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের অমিমাংসিত বিষয়ের সুরাহা না হলে তফসিল ঘোষণা করতে পারবে না ইসি।

অতীতে প্রশাসক দিয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করানো হলেও ওই আইন রহিত হওয়ায় এখন আর প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ নেই। আগস্ট মাস থেকে আনিসুল হক অসুস্থ থাকায় প্যানেল মেয়র দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু মেয়রের মৃত্যুর কারণে মৃত্যুর দিন থেকে ৯০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না প্যানেল মেয়র। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে বলে জানিয়েছে ইসি। ঢাকা উত্তরে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে তা নতুন ভোটার তালিকায় হবে নাকি পুরনোটায় তার সুরাহা হতে হবে। সিদ্ধান্ত হতে হবে মাসখানেক আগে উত্তর করপোরেশনে যোগ হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের বিষয়েও। ঢাকা উত্তরে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন করলেও আইন অনুযায়ী এবার নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে।