ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমনী বার্তায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সৌন্দর্য্য মন্ডিত সরিষা ফুল ।গ্রামের দিগন্ত মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহে।সরিষা ফুলের মুহ মুহ গন্ধ সকলকেই আকৃষ্ট করে ।ভোরে আলোর আভা ফুটে উঠতে মধু আহরণে লাখ লাখ মৌমাছি প্রজাপতির আনাগোনা ক্ষেতে ক্ষেতে।বর্তমানে কৃষির আধুনিকায়নে মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে স্থানীয় মৌ- চাষীরা সরিষা ক্ষেতের মধ্যে মৌ-কলোনি স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে।রঙিন প্রজাপতি আর মৌমাছির মধু আহরণে সরিষা ফুলের পরাগায়ণ ঘটছে।সরিষা আবাদকারী কৃষকরা জানায়,এর ফলে একদিকে সরিষার ফলন ভাল হবে, অন্যদিকে এলাকার বেশ কিছু বেকার মানুষের আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে।উপজেলার কৃষক ইসলাম বলেন ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগীতা এবং সরিষার ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি সরিষা চাষে আরও বেশি এগিয়ে আসবে ।সরিষা শাক এখন খুবই জনপ্রিয় ।তাই এ অঞ্চলের অনেক কৃষক শুধু শাক বিক্রি করতেই সরিষা চাষ করেন।অল্প সময়ে বেশি লাভ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা ।তারা বলেন ,স্বল্প সময়ের মধ্যে হাতে টাকা পাওয়া যায় তাই শাক বিক্রি করে দেই।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় , মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করলে ৬- ৭ জনের পরিবারের এক বছরের তেলের চাহিদা মিটে যায়।উপজেলায় এবার সরিষার ফলন বেশ ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলে কৃষকের লাভের অংকটা একটু বেশি হবে ।জমিতে বিঘায় চার মণ কোন কোন জমিতে পাঁচ মণ সরিষা পাওয়া যাবে।এবার দাম ভালো পেলে আগামীতে এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হবে ।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়,চলতি মৌসুমে আত্রাইয়ে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫০০ হেক্টর।