লালমনিরহাটে বিএনপি’র শান্তিপ্রিয় বিজয় র‌্যালিতে আ’লীগের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাও নামের এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। ফলে শহর জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেনন। পুনঃরায় সংঘর্ষের আশংকায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রেলওয়ে শ্রমিক দল কার্যালয়ের সামনে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের দাবী, প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করা কর্মীকে খুঁজে না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিলো।

স্থানীয় পুলিশ সুত্রে জানা জানান, ১৬ ডিসেম্বর সকালে জেলা রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল অফিস থেকে জেলা বিএনপি একটি বিশাল বিজয় র‌্যালী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধের উদ্দেশ্য রওনা হলে আ’লীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেয়। এরপরেও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা র‌্যালী নিয়ে সড়কে উঠা মাত্রই আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী তাদের বিজয় র‌্যালীতে পুনঃরায় বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে বিবার্তা লালমনিরহাট প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সুশান্ত কুমার সরকার, এসআই আলমগীরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আতংক বিরাজ করছে শহর জুড়ে।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম মমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপ্রিয় বিজয় র‌্যালীতে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা কর্মীরা। তারা হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

তবে বিএনপি’র অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, বিএনপি’র এক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছে। ওই কর্মীকে খুঁজে না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিলো মাত্র। এরপরেও যখন তারা মিছিল বের করে তখন তাদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তারা উল্টো হামলা করেছে। এতে তাদের কয়েজন কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনা হয়েছে এবং এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।