“ইতিমধ্যে বিগত বছরের তুলনায় সীমান্ত হত্যা, চোরাচালান ওসন্ত্রাসী কর্মকান্ড অতীতের চেয়ে অনেকাংশেই কমে আসছে। আর সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও সীমান্তে হত্যা ও চোরাচালান রোধে বিজিবি-বিএসএফ এর মাঝে যৌথভাবে ডিজিটাল বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে কিছু কিছু সীমান্তকে অপরাধমুক্ত অঞ্চল ঘোষনা করারও কাজ চলছে।” বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন লালমনিরহাটে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ পুর্বে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা সানিয়াজান নদীর ধারে জমগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিজিবি।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সীমান্তে ডিজিটাল স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট চালু করার কাজ চলছে। কারণ চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুধু ভারত-বাংলাদেশের একক কোনো সমস্যা নয়; এটি সারা বিশ্বের জন্যই সমস্যা। এজন্য এটি উভয় দেশের জন্য কমন ইস্যু। যাতে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেজন্য উভয় দেশের ডিজি পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রে সমাধানে বিজিবি-বিএসএফ মাঠ পর্যায়েও আলোচনা চলছে।’

বিজিবির জনবল সংকটের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেসব সীমান্তে বিজিবির ক্যাম্প নেই, সেসব সীমান্তে ক্যাম্প নির্মাণ ও যৌথ সীমান্ত টহল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে এক চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সীমান্তে হত্যা কমেছে। তবে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই সীমান্ত হত্যা আর যাতে না ঘটে, সেজন্য বিএসএফ কাজ করছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাইফুল ইসলাম, রংপুর-৭বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ মাহফুজ-উল বারী, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন ও বাউরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনীয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।