ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের আবেদন চেয়ে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ আটকে গেছে চেম্বার আদালতে। ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আগামী রোববার বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সকালে ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিটিআরসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব আলী।আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি আগামী রোববার আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ অনুসারে আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব জমা দেওয়ার দিন ছিল। তবে ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড গতকাল বুধবার হাইকোর্টে রিট করে। সকালে ওই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রমজান আলী শিকদার ও সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।পরে আইনজীবী রমজান আলী শিকদার আদেশের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুটি নীতির পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তিটি। কেননা ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে তিনজনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোরজি) দেওয়া যাবে না। সরকারকে একটি দেওয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করেই ফোরজি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই আদেশ দেন। রুলে দরপত্র আহ্বানের নোটিশ ওই দুটি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।