“অপরিচিতা”
———-#————-
গৌধুলির পরে বসে ছিলাম,
শিব নদীর ধারে
হঠ্যাৎ শুনি কে জানো ডাকছে
আমার দিকে চেয়ে,
পেছন ফিরে যাদেখি,
তা তো দেখিনি এর আগে
একটা স্বর্গের অপ্সরী আসছে
আমার পানে চেয়ে,
মায়া ভরা সেই চোখ,মাতাল করা হাসি
আর ফুলে ভরা ঘন কালো
কেশ,কপালে দেয়া টিপ,
পায়ে দেয়া নূপুর
প্রকৃতি ও যেনো সেজেছিলো
অপরূপ সাজে
পাখিরা ও গান গেয়ে উঠেছিল
সেই অপ্সরী দেখে,
সমস্ত সৌন্দর্য যেনো হার
মেনেছিল তার কাছে
কিছুক্ষন পর মেয়েটি জানতে চাই,
মাঝি কি নেই ঐ পারে যাবে বলে;
নদীর পাশে ছিল একখানা ছোট
তরী,যেথায় ছিল না কোন মাঝি
এবার আমি হলাম মাঝি
নৌকার একপাশে আমি, অন্যপাশে সেই অপ্সরী
মাঝপথে আমি শুধু
তার দিকে চেয়ে থাকি
মাঝপথে পদ্মফুল দেখে যেনো দিল উত্তলা হাসি
যার রহস্য কেবল বিধাতায়জানতো
নাকি প্রকৃতি,
অবশেষে তরী গিয়ে
ভিড়লো ঐ পাড়ে
বালিকা তখন নেমে যায়,
আমার সোনার তরী হতে
বারবার ফিরে তাকায়
তার দিকে চেয়ে,
হঠ্যাৎ দেখি নূপুরটি যেনো
ফেলে রেখে গেছে।
পেছনে ফিরে দেখি
সে তো নাই ঐ পাশে
প্রতিদিন আজও বসে থাকি
তার দিকে চেয়ে
অপরিচিতা কি ক্ষতি হতো,
আরএকটাবার ফিরে এলে।

নুরুজ্জামান তুহিন

রচনাকালঃ০১-০৯-১৬
সময়ঃ১২.৩০