আজ ২০মে, ২০১৮ ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১০.০০টায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর নাট্টমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন ঈদ সামনে রেখে সংস্কারের নামে সরকার সমর্থকরা লোটপাট করছে বিএনপি মহাসচিবে এমন বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,“ধরিয়ে দিন কোথায় সরকার সমর্থকরা আছে।” এই সচিবালয়ে আমি সাত বছর ধরে এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছি। আমার কোন যুবলীগের কর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সচিবালয়ের বারান্ধায় কখনো দেখিনি। “কাজের জন্য আমাদের কর্মীরা আসে না। কিন্তু বিএনপির আমলে তাদের নেতাকর্মীদের জন্য সড়কে, স্থানীয় সরকারে বারান্দা দিয়ে প্রবেশ করা যেত না। আর এখন আসে? এখন আসে না।“আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর এমন অভিযোগ জনগন গ্রহণ করবে না দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন,“আমরা একটা নিয়মে চলি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীরা অভাবে আছে, তাদের কোন সুবিধা দিতে পারছি না। “তারপরও এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিলে কেউ গ্রহন করবে না। এটা বিএনপিরই প্রেকটিস তাদেরই অভ্যাস। এবং আবারও বিএনপি এসব করার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায় “ সরকার বাধা না দিলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে এক সপ্তাহে বের করা হবে বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের উষ্মা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন,“এক সপ্তাহের মধ্যে বের করবে? করুক। জনগন তো তাদের ডাকে মাঠে নামে না। নয় বছরে পারে না, এখন এক সপ্তাহে পারবে। এখন আর মানুষ আন্দোলনের দিকে নেই, সবাই নির্বাচন মুখী। “গ্রেফতার হওয়ার পর লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামবে এমনটাই তারা ভাবছিল। আমরাও ভেবেছিলাম। এত বড় নেত্রী, এত বড় দল। সাগরের ওয়ের তো দুরে থাক নদীর ছোট্ট একটা রিপলও দেখলাম না। সাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা সেটা তো বহু দুর, সেই সাহসও তাদের নেই।”

বাম রাজনৈতিক দলের কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অনেকেই সুন্দর সুন্দর কথা বলে, পরামর্শ দেয়। তারা বলে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোন উদ্দ্যোগ সরকার নিয়েছে কি না। বিএনপি না এলে তারাও নির্বাচনে যাবে না। “আপনিও না এলেও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অভ্যাহত থাকবে। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য থেমে থাকবে না। নির্বাচনে না গেলে না যান, সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচন হবে “বিএনপি নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তায় চায় বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,“ বিএনপি চায় জাতীয়তাবাদী বিচার বিভাগ, তারা চায় জেতার নিশ্চয়তা দিবে এমন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে হরলে বলে মানি না মানব না। এখন তারা মানি না মানবো না দলে পরিণত হয়ে গেছে।”

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন ১৭ মে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বাঙালীর অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের নব জাগরণের দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মনে করে এই দিনটি জনগণের ক্ষমতায়নের দিন। কারণ, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই বিশে^ একমাত্র নেতা যার একটি রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। ২০১২ সালে তার বিশ^শান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন জাতিসংঘে সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। এটাই আজ বিশ^শান্তির একমাত্র দলিল, একমাত্র পথ নির্দেশিকা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড আবর্তিত হয় জনগনের ক্ষমতায়ন দর্শণের আলোকেই। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি যখন মাতৃভূমির পবিত্র মাটি স্পর্শ করেন তখন এই দেশ ছিলো গণতন্ত্রহীন। জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনে এদেশের মানুষ ছিলো অবরুদ্ধ, সংবিধান ছিলো বন্দী, মানুষের অধিকার ছিলো বুটের তলায় পিষ্ট। ৮১র এই দিন থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছেন তা হলো জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগনের অধিকার। তিনি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। অর্থনৈতিক শৃংখল থেকে জাতির পিতার বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সাগর জয় করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা, বিশে^র দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায়। শুধু বাংলাদেশের মানুষের নেতা নন তিনি। তিনি আজ বিশ^মানবতার কণ্ঠস্বর।

যুবলীগ চেয়ারম্যন আরো বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে জনগনের ক্ষমতায়ন দিবস হিসে ঘোষনার দাবি জানান।

তিনি বলেন,“এই দিনটি বাংলাদেশের জনগনের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে না ফিরলে এ দেশের জনগনের ক্ষমায়ন হতো না। তাই এই দিবসকে জনগনের ক্ষমতায়ন দিবসে হিসেবে ঘোষনা চাই।”

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রকাশিত ও যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রন্থেও মোড়ক উম্মোচন করেন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো: ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো: আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আজমাদ হোসেন, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা: বদিউল আলম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, আনোয়ার হোসেন, রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।