রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত খবরের যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পাবলিক ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল ইইউ-এর নতুন ৪১ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দের খবর জানিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করলে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিশ্বের সবথেকে বিপন্ন জনগোষ্ঠী আখ্যা পাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ২০১৭ সালে ৫ কোটি ১০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছিল ইইউ।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার। খুন, ধর্ষণ, আর অগ্নি সংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। চলতি বছর এপ্রিলে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, রাখাইনে তখন পর্যন্ত ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের চেয়েও মানবেতর জীবনযাপন করছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে প্রায় ২৮৬ কোটি টাকা (২৯ মিলিয়ন ইউরো) ব্যয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় থাকা রোহিঙ্গাদের খাবার, পুষ্টি সহায়তা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ও স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে। ৬৯ কোটি টাকা ( ৭ মিলিয়ন ইউরো) ব্যয় করে একই এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরকে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের জন্য প্রস্তুত করা হবে। আর বাকি ৩৯ কোটি (৪ মিলিয়ন ইউরো) ব্যয় হবে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়, স্বাস্থ্য, বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও পয়ঃনিষ্কাশনে।ইইউ-এর মানবিক সহায়তা ও সংকট ব্যবস্থাপনা কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ান্ডিস জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে রোহিঙ্গা সংকট অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে। কয়েক লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সহায়তা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমের সহায়তায় প্রয়োজনীয় সাহায্য সরবরাহ করবে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্য সরকারও রোহিঙ্গাদের জন্য সাত কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।