ঝাঁকে-ঝাঁকে আক্রমণ। কখনো সেটি প্রতিহত গোলপোস্টে, কখনো বা পর্তুগাল গোলরক্ষকের হাতে। এত কিছু করেও জিততে পারেনি মরক্কো। এক রোনালদোর হেডের কারণে পারেনি তারা সমতা নিয়েও ফিরতে। ০-১ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার ক্ষণ গুণতে হবে তাদের।

রোনালদো এদিন ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। সিআরসেভেন এখন ৮৫টি গোলের মালিক। ৮৪টি গোল আছে পুসকাসের। হাঙ্গেরি এবং স্পেনের হয়ে ৮৯ ম্যাচে গোলগুলো করেন তিনি। রোনালদোর লাগল ১৫২ ম্যাচ।

হয়েছে আরও একটি রেকর্ড। বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ৬টি গোল করে সবার ওপরে আছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মরক্কো ম্যাচে গোল করে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির রেকর্ডটাও ছুঁয়ে ফেলেছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।

মরক্কো প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে ইরানের কাছে হেরে যায়। সেই ম্যাচেও তারা দারুণ দাপট দেখিয়েছিল। পর্তুগাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে। এই ম্যাচের জয় তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ সহজ করবে।

পর্তুগালের বিপক্ষে মরক্কো প্রথম মাঠে নামে ১৯৮৬ সালে। সেই ম্যাচে পর্তুগিজরা ১-৩ গোলে হেরে যায়।

এদিন প্রথমার্ধে মরক্কো বেশি সময় বল দখলে রেখেও এক গোলে পিছিয়ে থাকে। এই সময়ে তারা গোলের দিকে শট নেয় চার বার। পর্তুগাল সেখানে এক বার।

রোনালদো আগের ম্যাচে লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলেছিলেন। এদিন ৪-৪-২ ফর্মেশনে স্ট্রাইকার হিসেবে শুরু থেকে খেলতে থাকেন। আগের ম্যাচের মতো শুরুতে পর্তুগালকে গোল এনে দেন। চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মাটিতে পড়ার আগে কিছুটা নিচু হয়ে উড়ন্ত হেড করেন। এই আসরে এটি তার চতুর্থ গোল।

১২তম মিনিটে পর্তুগালকে রক্ষা করেন তাদের গোলরক্ষক। ম্যানুয়েল দা কোস্তা কর্নার থেকে আসা বল হেড করেন। বাঁদিকের পোস্টে বল চলে যায়। কিন্তু পর্তুগাল গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও সময় মতো লাইনে এসে বল গ্রিপ করেন।

৪০তম মিনিটে পর্তুগাল দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে উপরে উঠে আসে। বক্সের বাইরে থেকে গনসালো গুইডেসকে বল ছাড়েন রোনালদো। এক ড্রপ করে বল তার সামনে পড়ে। উঁচুতে থাকা বল এক পা দিয়ে শট করেন। মরক্কো গোলরক্ষক মনির এক হাত দিয়ে কোনোমতে সেটি ফিরিয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫১তম মিনিটে বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে যান রোনালদো। জোরের উপর শট করতে গিয়ে বারের অনেক উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন।

৫৫তম মিনিটে পর্তুগালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক প্যাট্রিসিও। বক্সের বাইরে থেকে ইউনেস বেলহান্ডা বিদ্যুতগতির এক শট নেন। প্যাট্রিসিও নিজের হাইটকে দারুণভাবে ব্যবহার করে বল গ্রিপ করেন।

দুই মিনিট বাদেও তিনি ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হন। হাকিম জিয়েখের ক্রস হেড করেন ইউনেস বেলহান্ডা। ডানদিকে ডাইভ দিয়ে একহাতে সেটি বের করে দেন প্যাট্রিসিও।

মরক্কো এরপরেও বেশ কয়েকবার সুযোগ সৃষ্টি করে গোল বের করতে ব্যর্থ হয়।