আর্জেন্টিনাকে গ্র“পে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ক্রোয়েশিয়া প্রমাণ করেছিল লিওনেল মেসিকে আটকাতে তারা সফল। তারপর ফাইনালে ওঠার পথে প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বোতলবন্দি রেখে আদায় করে নিয়েছে সাফল্য। কোচ জাৎকো দালিচের বিশ্বাস, ফাইনালে ফর্মে থাকা ফ্রান্সের দুই ফরোয়ার্ড আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান ও কিলিয়ান এমবাপেকেও আটকে দেবে তার দল।

রবিবারের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার ভালো সুযোগ দেখছেন আত্মবিশ্বাসী কোচ। গ্রুপে মেসির পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনকে রুখে দেওয়ার পর রক্ষণভাগের ওপর আস্থা রাখছেন দালিচ।দোমাগোজ ভিদা ও দেহান লভরেনের রক্ষণভাগ এমবাপে ও গ্রিয়েজমানের মতো শক্তিশালী আক্রমণভাগকে ব্যর্থ করে দেবেন বিশ্বাস ক্রোয়েশিয়া কোচের। তিনি বলেছেন, ক্রোয়েশিয়া এখনও অনেক ভালো খেলতে পারে। ফ্রান্স খুব বিপজ্জনক একটি দল। কিন্তু আমরা যদি মেসি, এরিকসেন (ক্রিস্টিয়ান) ও কেইনকে থামাতে পারি তাহলে এমবাপে ও গ্রিয়েজমানকেও পারবো।

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগের রাতে ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল ইভান রাকিতিচের। কিন্তু অসুস্থতাকে হার মানিয়ে নেমেছিলেন তিনি। বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের মতো দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মানসিক দৃঢ়তায় মুগ্ধ দালিচ, ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে রাকিতিচের অনেক জ্বর ছিল। আন্তে রেবিচ বলছিল সে খেলতে পারবে না। আমিও তাদের বললাম শতভাগ ফিট খেলোয়াড়রাই খেলবে। কিন্তু ম্যাচের আগে শেষ মিটিংয়ে সবাই বললো তারা প্রস্তুত। এমনকি যখন বদলি করে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে চাচ্ছিলাম, সবাই বলছিল আমাকে নয়, আমাকে নয়।।