কুটির শিল্পে নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন ভোলার নারীরা। এখানকার নারীদের তৈরী হোগলা পাতার রশি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। অস্বচ্ছল পরিবারের নারীরা এ রশি তৈরী করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন। সংসারের অভাব দুর করে তারা এখন সাবলম্বী। দিন দিন বাড়ছে কারিগরদের সংখ্যা। তাদের দেখে এখন অনেকই নারীই ঝুকে পড়ছেন এ পেশায়। হোগলা পাতার রশি তৈরী করে ব্যস্থ সময় পার করছেন তারা।

ভোলার দুর্গম চরাঞ্চল ভেলুমিয়া, গজারিয়া ও চর চটকি মারা এলাকায় কৃষকদের চাষ করা ছাড়াও প্রকৃতিকগতভাবেই পাওয়া যাচ্ছে হোগলা পাতা। ওই পাতা সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নারীরা পেচিয়ে বিশেষ ধরনের রশি তৈরী করেন।


ভোলার কারিগরদের দ্বারা তৈরীকৃত এসব রশি প্রতি সপ্তাহেই ঢাকায় বিক্রি করা হয়। সেখানে এ রশি দিয়েই তৈরী হয় ফুলদানী, সোফাসেট, ড্রেসিং টেবিল, মোড়া, চেয়ার, মাদুল, আমের ঝুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাপপত্র। এ সকল আসবাপ পত্র অট্রোলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। নারীরা একশো হাত রশি পাকিয়ে (পেচিয়ে) পান ৭/১০ টাকা। একজন নারী দৈনিক ১২/১৩হাত রশি পাকান। একটি পরিবারের একাধিক নারী এ রশি তৈরী করেন। মাস শেষে তারা কয়েক হাজার টাকা পান। ঘরের কাজের ফাকে এ রশি তৈরী করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় অনেকে ঝুকে পড়েছেন এ পেশায়।
ভোলার আলীনগর, ভেলুমিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার নারী হোগলা পাতার রশি তৈরী করে ভাগ্য বদল করেছেন। ওই সকল এলাকার প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারের নারী ও শিশুরা ঝুকে পড়েছেন রশি তৈরীর কাজে।

এব্যাপারে কয়েকজন নারী কারিগর ও পুরুষ বেপারী বলেন, সরকারী-বেসরকারী সাহায্য-সহযোগীতা, প্রশিক্ষন ও ঝৃনের ব্যবস্থার অভাবে এ শিল্পটির প্রসার ঘটছে না।