রাঙ্গামাটিতে জল বিদ্যুতের নামে কাপ্তাই বাঁধ তৈরী, রাজনৈতিকভাবে বাঙালি পূনর্বাসনসহ নানা কারণে পাহাড়ে শুরু হয়েছিলো শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র আন্দোলন। এরপর প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে চলে এই গেরিলা সংগ্রাম। এতে ক্ষতির শিকার হয়েছে অসংখ্য পাহাড়ি ও বাঙালি। একাধিক সরকার সংকট উত্তরণে চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পরে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পাহাড়ের শসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চুক্তি মাধ্যমে ২রা ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি ষ্টেডিয়ামে শান্তিবাহিনী নামক আঞ্চলিক প্রধান গেরিলা নেতা সন্তুলারমার নেতৃত্বে ৭৩৯জন সদস্য নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্রসমর্পন করে দীর্ঘ দু’দশকের সান্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। এরপর থেকে প্রতিবছর ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

প্রতিবছর দিবসটিকে ঘিরে ৩পার্বত্য জেলার সবুজ পাহাড়ে শুরুহয় উৎসবের আমের। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে ডাক-ঢোল বাজিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১ বছরে এসে পাহাড় ঘুরে দেখা মিলবে উন্নয়নের দৃশ্যমান কার্যক্রম। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প কারখানা ও পর্যটন খাত সহ প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। দিবসটি উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারা সেনা বিজয়েন উদ্যোগে গুইমারা আর্মি ষ্টেডিয়ামে ২দিন ব্যাপী শান্তি মেলা ও শান্তি কনসার্টসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের এ ধারা অব্যহত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিবছর এ আয়োজন করে গুইমারা রিজিয়ন।