নির্বাচনী ব্যয় বহনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

দেবপ্রিয় বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় এখন অনেক যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করছে। তাঁর এই ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সামর্থ্য নেই। কিন্তু নির্বাচনী ব্যয়টাই এখন গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধকতায় পরিণত হচ্ছে কি না, সেটা আমাদের বিবেচনা করার সময় হয়েছে। রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ তুলে ধরতেই সম্মেলনটির আয়োজন করে সিপিডি।এ ছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারে শুধু প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে বাস্তবায়নের পথ দেখাতেও আহ্বান জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দেবপ্রিয় বলেন, উনারা অনেক গগণস্পর্শী উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা আমাদের সামনে তুলে ধরবেন। কিন্তু সেইটাকে অর্জন করার পদ্ধতি, তার অর্থায়নের সুযোগ এটা উনাদের একই সঙ্গে বলতে হবে। এবং তৃতীয় যেটা বলবেন, সেটা হলো এটা যে বাস্তবায়ন হবে, সেটার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য কী কী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকবে।

এ ছাড়া নির্বাচনের আগে আমদানির নামে অর্থপাচার ঠেকাতেও সতর্ক থাকতে বলেন সম্মেলনের বক্তারা।
প্রতিষ্ঠানটির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশ থেকে সম্পদ যে পাচার হচ্ছে, জিরো টলারেন্স দিয়ে এটাকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও সাধারণ জনগণের অর্থ লুট করে তারপরে এটা পাঠানো হয়।বক্তারা জানান, গত ১০ বছরে অর্থনীতিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা না থাকায় সমাজে বৈষম্য বেড়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার পতন হয়েছে।এ ছাড়া নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী আরো গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করা উচিত বলে মনে করছে সিপিডি। নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ প্রতিষ্ঠানটির। আর রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে, ব্যাংক এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা ও উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শও দেন তাঁরা।