ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশলি) রমিজ উদ্দীন সরকারের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ যাচাইয়ে প্রাথমিকভাবে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,প্রাথমিক তদন্তে ডিপিডিসি কর্তাব্যক্তির অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক ভাবে প্রমান পাওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর প্লটের ওপর ৭ তলা বাড়ি, মিরপুরের পূর্ব মনিপুরি পাড়ার ১৩০৭/ডি প্লটে ৬ তলা বাড়ি। মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে ৪ তলা বাড়ি ও ২০২ নম্বর বাগিতে ফাট, রামপুরার মহানগর হাউজিংর ডি নম্বর ব্লকের ৮ নম্বর রোডে সাড়ে চার কাঠা জমির ওপর ৫টি দোকানসহ টিনসেড বাড়ি, ১৭৭/৫/১ পূর্ব রামপুরায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ও বাড়ি, টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে, বেনামে ৩০ একর জমি, কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে কয়েক একর জমি, কুমিল্লার মুরাদ নগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে ৫০ বিঘা জমি ও শেয়ার মার্কেটে বিশাল অংকের বিনিয়োগ এবং বেনামে বিপুল সম্পদ।এছাড়া গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারেরও প্রমান পেয়েছে দুদক। উপ সহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ সন্ধান পায় দুদক।

অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী সালমা পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।

এই বিপুল সম্পদের প্রাথমিক প্রমান পাওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা সার করা নোটিশে রমিজ উদ্দীনকে সম্পদ বিবরনি দাখিল করতে নোটিশ পাঠায় দুদক।নোটিশে ২০ জানুয়ারি থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল ।

দুদকের কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে আছেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান।