ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাযা শেষে নিজ জন্মভ’মি জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইলে দাফন সম্পন্ন হয়েছে ‘সোনালী কাবিন’র কবি ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের।

রোববার (১৭ ফেব্র“য়ারি) বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়্জা মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাযায় ইমামতি করেন জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. আশিক উল্লাহ ভূইয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সাধারণ লোকজন জানাযায় অংশ নেন। পরে কবির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের লোকজন। জানাযা শেষে কবির মরদেহ জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল কবরস্থানে বাবা মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

কবির নিকটআত্বীয় হাফিজুর রহমান বলেন, রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১২টায় জেলার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবির মরদেহ রাখা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানেই বাদ জোহর জানাযার নামাজ শেষে কবিকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ মোড়াইল কবরস্থানে। সেখানেই তার বাবা মায়ের ডান পাশে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই মৌড়াইল মহল্লার মোল্লাবাড়িতে জন্ম নেয়া আল মাহমুদ দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার কারণে মাঝে-মধ্যে অল্প সময়ের জন্য কবি ছুটে আসতেন মোল্লাবাড়িতে। ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া কবি আল মাহমুদ ১৯৭৪ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে কারাবরণ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন তিনি। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।